আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ব্রিটিশ রাজ পরিবার থেকে চিরদিনের জন্য বিদায় নিলেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল। সম্প্রতি বাকিংহাম প্যালেসের পক্ষ থেকে তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়। রাজ পরিবার ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার একবছর পর সিদ্ধান্তটি কার্যকর হলো।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সাসেক্সের ডিউক ও ডাচেসকে নির্দেশ দিয়েছেন যেহেতু তারা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ উপাধি ধারণ করেন, সেগুলো তাদের পরিত্যাগ করতে হবে। তাদের এও নিশ্চিত করতে হবে তারা আর ব্রিটিশ রাজ পরিবারে ফেরত আসবেন না।
গত বছরই লন্ডন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে এসেছিলেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান। তখন ব্রিটিশ মিডিয়া ঘটনাটিকে ‘মেক্সিট’ বলে আখ্যা দিয়েছিল। তারা তখন জানিয়েছিলেন রাজপরিবারের বাঁধাধরা নিয়মে খাপ খাওয়াতে না পেরে সাধারণদের মতো স্বাধীন চলাফেরা করতেই এমন ঘোষণা করেছেন তারা। আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে চাইছেন হ্যারি-মেগান দম্পতি।
রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে সারাক্ষণ গণমাধ্যমের নজরে থাকতে হয় বলে ব্যক্তিগত জীবন কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। তাই হ্যারি ও মেগান এমন ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন : মিয়ানমার-রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে ইইউ
সন্তান আর্চির বেড়ে ওঠার পাশাপাশি নতুন একটি এনজিও খোলার পরিকল্পনার কথাও ঘোষণা করেছিলেন তারা। হ্যারি-মেগানের ওই ঘোষণা বাকিংহাম প্রসাদকে বেশ বড় ধাক্কা দিয়েছিল। রাজপরিবার তাদের সিদ্ধান্তের কারণে যতটা না আহত হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি আহত হয়েছিল তারা যেভাবে আলোচনা না করে ওই ঘোষণা করেছিলেন তা নিয়ে।
এক সময় যুক্তরাষ্ট্রে অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করেছেন মেগান। কাজের সূত্রে এক সময় টরন্টোতে কাটিয়েছেন। সেখানে তার বেশ কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবও আছে। আর রাজপরিবারের জীবনে অনেক কিছুর সঙ্গেই তারা মানিয়ে নিতে পারছিলেন না।
আরও পড়ুন : স্পেনের নতুন রাষ্ট্রদূত সারওয়ার মাহমুদ
মেগান বলেছিলেন, আমি বোবা পুতুলটি হয়ে থাকতে চাই না। কিন্তু যখনই উচ্চকণ্ঠ করেছি, তখনই আমাকে সমালোচনায় পড়তে হয়েছে। তাই রাজ পরিবার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড