ভারতে প্রকাশ্যে আইনজীবী দম্পতিকে হত্যা, ভিডিয়ো ধারণে ব্যস্ত লোকজন

ব্যস্ত সড়কে গাড়ি থেকে নামিয়ে আইনজীবী দম্পতিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। করা হয় একের পর এক ছুরিকাঘাত। এমন একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

ভারতের তেলেঙ্গানার মন্থনি ও পেড্ডাপল্লী শহরে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে ঘটনার মূলহোতা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়, স্বামী গট্টু ভমন রাও এবং স্ত্রী পিভি নগামণি- দু’জনেই তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের আইনজীবী। তাদের জনসম্মুখে কুপিয়ে হত্যা করা হলেও এগিয়ে আসেননি কেউ। কারণ সবাই ব্যস্ত ছিলেন ঘটনাটি ভিডিয়ো ধারণ করতে।

ভিডিয়োতে দেখা গেছে, ব্যস্ত সড়কে হঠাৎই উল্টোদিক দিয়ে আইনজীবী স্বামী-স্ত্রীর গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায় কালো রঙের একটি গাড়ি। সেখান থেকে দুজন ব্যক্তি বেরিয়ে টেনে হিঁচড়ে নামায় স্বামী-স্ত্রীকে ৷ তারপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে একের পর এক কোপাতে থাকে তাদের। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সবার চোখের সামনে দিয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান হামলাকারীরা।

একটি ভিডিয়োতে দেখা গেছে, হামলাকারী বারবার বুকে ছুরিকাঘাত করছে গট্টু ভমনের। গাড়ির ঠিক পাশে একটি বাস কিছুক্ষণের জন্য গতি নিয়ন্ত্রণ করে, হর্ন বাজাতে থাকে। এছাড়াও পাশে থাকা এক যুবক বাইক থামিয়ে দেখতে থাকেন গোটা ঘটনা। এরপর সকলেই সরে যান এলাকা থেকে।

আরও পড়ুন : ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষে পাঁচ সেনা নিহতের স্বীকারোক্তি চীনের

অন্য একটি ভিডিয়োতে দেখা গেছে, মারাত্মকভাবে জখম হন স্ত্রী নগামণি, গাড়ির দুই সিটের মাঝে আটকে রয়েছেন। আরও একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে, যাতে দেখা গেছে, ভামন রাও রাস্তায় পড়ে আছেন, রক্ত চারিদিকে গড়িয়ে যাচ্ছে।

এর মধ্যেও তিনি কথা বলার চেষ্টা করছেন। নিজের পরিচয় জানাচ্ছেন এবং একই সঙ্গে যে তার বুকে ছুরিকাঘাত করেছেন তার নামও উল্লেখ করছেন। হামলাকারীর নাম কুন্তি শ্রীনিবাস, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির সদস্য বলে জানা গেছে।

খবরে বলা হয়েছে, আইনজীবী দম্পতি আগে থেকেই হামলার আশঙ্কা করেছেন। এরপরই হামলাকারীদের হাতে তাদের প্রাণ দিতে হলো তাদের।

আরও পড়ুন : মঙ্গলের মাটিতে নাসার রোবট যানের ঐতিহাসিক অবতরণ

এ দিকে প্রকাশ্যে এমন হামলার ঘটনায় রাজ্যের আইনজীবীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বার কাউন্সিল। সংস্থাটির পক্ষ থেকে অভিযুক্তের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি করা হয়েছে।

সূত্র : জি নিউজ ও নিউজ ১৮