আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গত সপ্তাহে মিয়ানমারের বিতর্কিত সামরিক সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবার ‘গণতন্ত্র রক্ষায়’ একই পথে হাঁটল কানাডা ও যুক্তরাজ্য। অভ্যুত্থানে জড়িত মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তারাও। খবর রয়টার্সের
রাখাইনে মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর নির্যাতনের দায়ে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইংসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার ওপর আগে থেকেই নিষেধাজ্ঞা ছিল যুক্তরাজ্যের।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, তারা মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী তিন জেনারেলের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও ভ্রমণ নিষিদ্ধ করছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছেন, যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি তাদের মিত্র দেশগুলোরও মিয়ানমারের লোকদের সুবিচার পেতে সাহায্য করা উচিত।
এদিন কানাডাও ঘোষণা দিয়েছে, তারা জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লেইংসহ মিয়ানমারের নয়জন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার ওপর একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।
আরও পড়ুন : ভ্যাকসিন প্রয়োগের সময় অভিবাসীদের আটক করবে না মালয়েশিয়া
কানাডিয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক গার্নাউ বলেছেন, কানাডা তার আন্তর্জাতিক অংশীদারদের মতোই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চিসহ অভ্যুত্থানের সময় আটক নেতাদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর ওপর যুক্তরাজ্য-কানাডার নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, জবাবদিহিতার প্রচারে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একটি ঐক্যবদ্ধ বার্তা পাঠানোর আহ্বান জানাই। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে অবশ্যই গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার ফিরিয়ে আনতে হবে।
আরও পড়ুন : মৃত মায়ের টিপসই জাল করে ভুয়া দলিল রেজিস্ট্রি
নতুন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মিয়ানমারের জান্তা সরকার এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। তবে গত মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দেশটির সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, তাদের কাছে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা অনুমেয়।
সূত্র : রয়টার্স, এনএইচকে
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড