আন্তর্জাতিক ডেস্ক
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান সীমান্তে অভিযান বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তুর্কি সেনাবাহিনী দাবি করে, কুর্দি বিদ্রোহীরা সেনা সদস্যসহ তাদের ১৩ নাগরিককে হত্যা করেছে। এরপর সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কুর্দি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান বাড়ানোর ঘোষণা এলো।
তুরস্ক চলতি মাসে উত্তর ইরাকে কুর্দি পিকেকের বিরুদ্ধে ‘ঈগলের থাবা ২’ নামে এক সামরিক অভিযান শুরু করে। কুর্দিদের হাতে জিম্মি হওয়া তুরস্কের ১৩ নাগরিককে উদ্ধার করতে ওই অভিযান শুরু করা হয়। অভিযানে কুর্দি সশস্ত্র বাহিনীর ৪৮ সদস্য নিহত হয়।
রবিবার সংবাদ সম্মেলন করে তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলসি আকর বলেছিলেন, অভিযানে কুর্দি যোদ্ধাদের তিন সিনিয়র সদস্যসহ ৪৮ জন নিহত হয়েছে, দুই বিদ্রোহীকে জীবিত বন্দী করা হয়েছে। অভিযানে তুরস্কের তিন সেনা আহত হয়েছে। কুর্দি বিদ্রোহীরা সেনা সদস্যসহ অপহরণ করা তুরস্কের ১৩ নাগরিককে গুলি করে হত্যা করে।
১৩ নাগরিক হত্যার ঘটনায় তুরস্ক যথেষ্ট আন্তর্জাতিক সংহতি পায়নি অভিযোগ করে মঙ্গলবার এরদোগান বলেন, তোমরা কথা বলো আর নাই বলো আমরা আমাদের দায়িত্ব জানি। আমরা সন্ত্রাসীদের সুযোগ দেব না। যেসব এলাকায় বড় হুমকি রয়েছে সেসব এলাকায় আমরা অভিযান বৃদ্ধি করব।
এর আগে সোমবার এক টেলিভিশন বক্তৃতায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান যুক্তরাষ্ট্র কুর্দি বিদ্রোহীদের সংগঠন পিকেকে সমর্থন দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন : ৫৯ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে তাড়িয়ে দিল মালয়েশিয়া
ইরাকের উত্তরাঞ্চলের কান্দিল পর্বতের কুর্দি বিদ্রোহী পিকেকে গোষ্ঠীকে তুরস্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। কুর্দি বাহিনীর সঙ্গে কয়েক দশক ধরে তুরস্কের চলমান যুদ্ধে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড