সংলাপের জন্য কাতারের আহ্বানকে স্বাগত জানাল ইরান

পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (পিজিসিসি) সঙ্গে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সংলাপ আয়োজনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন মুসলিম রাষ্ট্র কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ আব্দুর রহমান বিন আলে সানি। পরবর্তীকালে তার এই আহ্বানকে স্বাগত জানায় তেহরান।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে হবে।

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরান এবং পারস্য উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠানের আহ্বান জানান। এরপর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফ ওই দিনই তার টুইটার একাউন্টে কাতারি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বানকে স্বাগত জানিয়ে পোস্ট দেন।

সেখানে তিনি বলেন, আমার ভাই কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অংশগ্রহণমূলক সংলাপের যে আহ্বান জানিয়েছেন তাকে আমরা স্বাগত জানাই।

আরও পড়ুন : এক নজরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামল

জারিফের মতে, আমরা সবসময় জোর দিয়ে বলে আসছি, এ অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা নির্ভর করছে আমাদের সম্মিলিত সহযোগিতায় একটি শক্তিশালী অঞ্চল গঠন করার ওপর যা হবে শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল, উন্নত, স্বাধীন এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বলদর্পী শক্তিগুলোর হস্তক্ষেপ মুক্ত।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল ব্লুমবার্গকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরান এবং পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ ভুক্ত সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠানের আহ্বান জানান। জোর দিয়ে তিনি বলেন, ইরান এবং পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ ভুক্ত দেশগুলো পরস্পরের প্রতিবেশী। আমরা ভৌগোলিক মানচিত্র পরিবর্তন করতে পারব না। ইরান আমাদের থেকে দূরে থাকতে পারবে না, আমরাও ইরানের থেকে দূরে চলে যেতে পারব না। ফলে দু পক্ষের মধ্যে অবশ্যই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সংলাপ হতে হবে।

২০১৭ সালের জুন মাসে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিশর একযোগে কাতারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে। একই সঙ্গে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।

কাতার ও চার আরব দেশের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কুয়েত মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করেছে এসেছে এবং তার ধারাবাহিকতায় গত ডিসেম্বর মাসে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন একত্রে কাতারের উপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।

আরও পড়ুন : চীনের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ পম্পেওর

এখন ধারণা করা হচ্ছে- ইরান ও পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যকার সংকট নিরসনের ক্ষেত্রে কাতার মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে চায়।