• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পাশ্চাত্যের নির্মাণশৈলীর ছোঁয়ায় অযোধ্যা মসজিদের নকশা প্রকাশ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২০ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৩৫
পাশ্চাত্যের নির্মাণশৈলীর ছোঁয়ায় অযোধ্যা মসজিদের নকশা প্রকাশ
পাশ্চাত্যের নির্মাণশৈলীর ছোঁয়ায় অযোধ্যা মসজিদের সদ্য প্রকাশিত নকশা (ছবি : দ্য হিন্দু)

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কর্মীরা। বিতর্কিত সেই ঘটনার জেরে ভারতজুড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়। যাতে তিন হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।

দীর্ঘ প্রায় ২৭ বছর পর ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বাবরি মসজিদ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে অযোধ্যার বিতর্কিত স্থানে রামমন্দির নির্মাণের আদেশ দেন বিচারক। একই সঙ্গে অযোধ্যাতেই বিকল্প কোনো স্থানে মুসলিমদের জন্য মসজিদ নির্মাণে ট্রাস্ট গঠন করে দেওয়া হয়।

রায়ে সন্তুষ্ট না হলেও বিক্ষোভ বা সহিংস কর্মসূচিতে যাননি দেশটির ইসলামিক নেতারা। তবে রায় ঘিরে ভারতজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়। এর মধ্যেই গত ৫ আগস্ট প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভিত্তিস্থাপন করেন।

এবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী অযোধ্যার ধানিপুরে পাঁচ একর জমির উপর মসজিদ নির্মাণের ব্লু-প্রিন্ট প্রকাশ করেছে ট্রাস্ট। নকশা অনুযায়ী মসজিদের সাথে একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। থাকবে একটি গ্রন্থাগার ও কমিউনিটি কিচেন।

আরও পড়ুন : কৃষকদের আন্দোলনকে স্বীকৃতি দিল ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট

প্রকাশিত নকশা অনুযায়ী- মসজিদটির মাথায় বিশাল একটি গম্বুজ থাকলেও পাশ্চাত্য ধাঁচের নির্মাণশৈলী স্পষ্ট। মূল ভবনটিও আধুনিক স্থাপত্যের নিদর্শন। মসজিদের সঙ্গে থাকছে পার্কিং ব্যবস্থা।

দেশটির সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড দ্বারা গঠিত ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন (আইআইসিএফ) অযোধ্যায় মসজিদটি তৈরির দায়িত্বে রয়েছেন। প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা স্থপতি অধ্যাপক এসএম আখতার বলেন, পুরো মসজিদটি সৌরশক্তি চালিত হবে। ভিতরের তাপমাত্রা বাড়ানো-কমানোর স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা থাকবে। মসজিদের সাথেই থাকবে ৩০০ বেডের হাসপাতাল। এখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের আনা হবে।

আগামী ২৬ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদটির নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হবে। তবে এখনো মসজিদটির কোনো নামকরণ করা হয়নি। আইআইসিএফ নিশ্চিত করেছে, কোনো রাজা-বাদশার নামে এটির নামকরণ করা হবে না।

আরও পড়ুন : অল্পের জন্য বাঁচলেন সোমালিয়ার প্রধানমন্ত্রী, আত্মঘাতী হামলায় নিহত ১৫

প্রকল্পের পরামর্শদাতা অধ্যাপক পুস্পেশ পান্ত বলছেন, সেখানে একটি জাদুঘর বা সংরক্ষণাগার থাকা জরুরি। যেখানে একজন কিউরেটর দায়িত্বে থাকবেন এবং ভারতের মুসলিম ঐতিহ্য এবং সংগ্রামের চিত্র সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।

সূত্র : এনডিটিভি

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড