আন্তর্জাতিক ডেস্ক
তিব্বতে ইয়ারলাং জ্যাংবো নদীর ওপরে চীন যে বাঁধ দেয়ার পরিকল্পনা করছে তা নিয়ে বাংলাদেশ এবং ভারতকে চিন্তা না করার আহ্বান জানিয়েছে চীন। বাঁধের আগে দুই দেশের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটি।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ইয়ারলাং জ্যাংবো নদীতে বাঁধ দেয়া আমাদের বৈধ অধিকার। আন্তসীমান্ত নদীর উন্নতি বিষয়ক প্রসঙ্গ আসলেই চীন দায়িত্বপূর্ণ আচরণ করে।’
‘বিজ্ঞান-সম্মতভাবে আমরা প্রজেক্টটির চিন্তাভাবনা করছি। কোনো অঞ্চলের কোনো ক্ষতি হবে না।’
চীন আলোচনা করবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে এই নারী কর্মকর্তা বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে চীন, ভারত এবং বাংলাদেশ জলবিদ্যুৎ সম্পর্কিত তথ্য, বন্যা প্রতিরোধ এবং দুর্যোগ হ্রাসের ব্যাপারে সব সময় ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করে।’
‘সামনের দিনেও তিন দেশ ভালো যোগাযোগ রাখবে। এ ব্যাপারে চিন্তার কোনো কারণ নেই।’
স্বশাসিত তিব্বত অঞ্চলের উৎসস্থল থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে ইয়ারলাং জ্যাংবো নদী, অরুণাচলে পৌঁছে যার নাম হয়েছে সিয়াং। আসামে প্রবেশ করার পর এই সিয়াংই পরিচিত হয় ব্রহ্মপুত্র নামে এবং যা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস সম্প্রতি জানায়, অরুণাচল সীমান্তের কাছাকাছি তিব্বতের মেডগ কাউন্টিতে ব্রহ্মপুত্রের ওপরে বাঁধ প্রকল্প তৈরির পরিকল্পনা করেছে সরকার।
এর আগেও ব্রহ্মপুত্রের ওপরে একাধিক ছোট বাঁধ নির্মাণ করেছে বেইজিং। নতুন প্রকল্পে উৎপাদিত জলবিদ্যুতের পরিমাণ বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রকল্প, মধ্য চীনের থ্রি গর্জেস ড্যামের চেয়ে প্রায় তিন গুণ হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এ প্রসঙ্গে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, বাঁধ নির্মাণ হলে উত্তর-পূর্ব ভারতে পানির অভাব দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ভারত ও চীনের নদীতে দেওয়া বাঁধের কারণে ভুগছে বাংলাদেশের নদীগুলো। নতুন এই বাঁধের কারণে আশঙ্কা আরও বাড়বে। পিটিআই
ওডি/
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড