আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ সংঘাত নিরসনে আজারবাইজানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্র আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকল পাশিনিয়ানের প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মস্কো নেতৃত্বাধীন কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনের এক ভিডিও কনফারেন্সে দেশে বিরোধিতার পরও শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে সাহস দেখানোর জন্য এই প্রশংসা করেন তিনি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আন্তর্জাতিকভাবে নাগোরনো-কারাবাখ আজারবাইজানের অংশ বলে স্বীকৃত। কিন্তু এলাকাটিতে বসবাস ছিল আর্মেনীয় জনগোষ্ঠীর মানুষদের। সেখানে নিজেদের বিচ্ছিন্নতাবাদী সরকারও প্রতিষ্ঠা করেছিল তারা।
সম্প্রতি তারই জেরে ছয় সপ্তাহ ধরে যুদ্ধ হয়েছে সেখানে। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে আর্মেনিয়া পর্যুদস্ত হয়ে পড়লে রাশিয়ার হস্তক্ষেপে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ত্রিদেশীয় চুক্তিতে আর্মেনিয়া কারাবাখের তিনটি জেলা ছেড়ে দিতে সম্মত হয়। ইতোমধ্যে আজেরি বাহিনী আগদাম, লাচিন ও কালবাজারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
পুতিন বলেছেন, সংঘাত নিরসনে পাশিনিয়ানের সিদ্ধান্তগুলো ছিল প্রয়োজনীয় কিন্তু বেদনাদায়ক। এমন সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে অনেক ব্যক্তিগত সাহসিকতার প্রয়োজন ছিল।
আরও পড়ুন : ইয়েমেনে প্রতি ১০ মিনিটে এক শিশুর মৃত্যু
রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আমাদের এখন দায়িত্ব হলো প্রধানমন্ত্রী ও তার দলকে সহযোগিতা করা। যাতে শান্তি নিশ্চিত হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, পাশিনিয়ানের প্রতি পুতিন নিজের সমর্থনের কথা এমন সময় জানালেন, যখন আর্মেনিয়ায় ব্যাপক চাপে রয়েছেন তিনি। শান্তিচুক্তি ঘোষণার পর থেকে রাজধানী ইয়েরেভানে নিয়মিত বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নামছেন। তারা পাশিনিয়ানকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশে ঢুকে মাছ ধরায় ভারতের ১৭ জেলে আটক
গত মাসে আর্মেনিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, পাশিনিয়ানকে হত্যার একটি পরিকল্পনা তারা নস্যাৎ করেছে। সংঘাত চলাকালে যুদ্ধের ফ্রন্টে ছিলেন তার স্ত্রী ও ছেলে। তিনি দাবি করেছেন, কারাবাখের জন্য শান্তিচুক্তি ছাড়া আর্মেনিয়ার সামনে আর কোনো বিকল্প ছিল না।