আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গ্রেপ্তারের ১৫ মাস পর ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মায়েস আবু ঘোসাকে (২২) মুক্তি দিয়েছে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী। বিরজেইত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের এই শিক্ষার্থীকে ২০১৯ সালের আগস্টে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক আদেশে নিষিদ্ধ করা ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ স্টুডেন্ট পোলের সদস্য হওয়া এবং ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগ গঠন করা হয়। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমিতে ফেরার অধিকার নিয়ে এক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পর শিক্ষার্থী মায়েস আবু ঘোসার বিরুদ্ধে শত্রুর সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহ সমর্থক একটি বার্তা সংস্থায় কাজ করার অভিযোগও আনা হয়।
গ্রেপ্তারের ১৫ মাস পর প্রায় ছয়শ’ মার্কিন ডলার জরিমানা করে মুক্তি দেওয়া হয়। ইসরায়েলের দামুন কারাগার থেকে মুক্তির পর তাকে জালামেহ চেকপয়েন্টে নিয়ে যায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের কাছের এই চেকপয়েন্টেই পরিবার ও বন্ধুরা স্বাগত জানায় এই ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীকে।
আরও পড়ুন : ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যার দায় প্রত্যাখ্যান সৌদির
বেশ কয়েকটি মানবাধিকার গ্রুপ জানিয়েছে গ্রেপ্তারের পর জেরুজালেমের একটি ইসরায়েলি জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্রে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কথা বলেছেন আবু ঘোসা। গ্রুপগুলো জানায় তাকে পঙ্গু করে কিংবা মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করে পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানোর হুমকিও দেওয়া হয়। এছাড়া অন্য ফিলিস্তিনি বন্দিদের চিৎকার ও নির্যাতনের শব্দও শুনতে বাধ্য করা হয় তাকে।
আরও পড়ুন : এক কোটি অভিবাসীকে নাগরিকত্ব দিচ্ছেন বাইডেন
মুক্তি পাওয়ার এক দিন পর আবু ঘোসা আল-জাজিরাকে বলেছেন, জিজ্ঞাসাবাদ ও নির্যাতনের সময় তার সঙ্গে যেসব আচরণ করা হয়েছে তার সব কিছুই প্রকাশ করতে চান তিনি। ফিলিস্তিনি এই শিক্ষার্থী মনে করেন তার সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তা অন্য যে কোনো ফিলিস্তিনি নাগরিকের সঙ্গেও করা হতে পারে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড