আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। মুম্বাইয়ের এ হামলা সংঘটিত হয় ২৬ নভেম্বর।
বিক্ষোভ থেকে এ ঘটনায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার বিষয়টির নিন্দা জানানো হয়। একইসঙ্গে আহ্বান জানানো হয়, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যেন রাষ্ট্রীয়ভাবে মদদ দেওয়া বন্ধ করে পাকিস্তান।
বেলজিয়াম এবং মিশরে ভ্রাম্যমাণ ব্যানারে এ হামলার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করা হয়। ব্যানারে লেখা ছিল, ‘সন্ত্রাসবাদকে না বলুন।’
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে নেপালেও। দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে এ হামলায় মৃতদের স্মরণে সৈকতে বালির মধ্যে লেখা হয়েছে, ‘২৬/১১ হামলার ভুক্তভোগীদের প্রতি শ্রদ্ধা।’
এদিকে বাংলাদেশেও অনুষ্ঠিত হয়েছে সন্ত্রাসবিরোধী বিক্ষোভ। এছাড়া জাপানের পাকিস্তান দূতাবাসের সামনেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০০৮ সালে মুম্বাই জঙ্গি হামলা যা সাধারণত ছাব্বিশে নভেম্বর বা ২৬/১১ নামে পরিচিত।
পাকিস্তান থেকে জলপথে অনুপ্রবেশকারী কয়েকজন জঙ্গি ভারতের বৃহত্তম শহর মুম্বাইতে ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর ১০টিরও বেশি ধারাবাহিক হামলা চালায়।
এই হামলার জন্য যে সব জঙ্গিরা তথ্যসংগ্রহ করত, তারা পরে স্বীকার করেছে যে, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) তাদের মদদ দিত। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত এই হামলা চলে। ঘটনায় ১৬৪ জন নিহত ও কমপক্ষে ৩০৮ জন আহত হন।
আরও পড়ুন : তাইওয়ানের পার্লামেন্টে তুলকালাম কাণ্ড, ছোড়া হলো শূকরের নাড়িভুঁড়ি
এই ঘটনার পর পাকিস্তান সরকার হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করে। হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে সাতজন সন্দেহভাজনের বিচার কাজ প্রায় এক দশক ধরে চললেও তাদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো প্রমাণ উত্থাপন করা যায়নি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড