• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ট্রাম্পকে যেভাবে হোয়াইট হাউজ থেকে তাড়ানো হবে 

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৩ নভেম্বর ২০২০, ২২:২২
ডোনাল্ড ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প (ছবি : সংগৃহীত)

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনের বিজয় নিশ্চিত হয়েছে গত ৭ নভেম্বর। তবে রিপাবলিকান প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার পরাজয় অস্বীকার করছেন। শুধু অস্বীকারই না, তিনি বরং নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করে যাচ্ছেন এবং একের পর এক মামলা করেছেন। অবশ্য এসব অভিযোগের স্বপক্ষে কোনো প্রমাণই হাজির করতে পারেননি ট্রাম্প। তাই মামলাগুলোতেও একের পর এক মার খেয়ে যাচ্ছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এক জন প্রার্থীকে জয় নিশ্চিত করতে প্রয়োজন হয় ২৭০ ইলেকটোরাল ভোটের। মার্কিন গণমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাইডেন পেয়েছেন ৩০৬ ভোট। আর ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২টি ভোট।

কারচুপির অভিযোগে দায়ের করা মামলাগুলোতে হেরে যাওয়ার পর ট্রাম্প ক্ষমতা ধরে রাখতে ভিন্ন পথে হাঁটতে শুরু করেন। সংবিধান অনুযায়ী, ১৪ ডিসেম্বর ইলেকটোরাল কলেজ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে। সেই বিষয়টি সামনে রেখেই নির্বাচনের ফল পাল্টে দিতে ইলেকটর বাছাই করতে রিপাবলিকান নেতাদের ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করেছেন ট্রাম্প। এর অংশ হিসেবে শুক্রবার মিশিগানের আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। তবে তার সেই চেষ্টা গুড়েবালি। মিশিগানের সিনেট সংখ্যগরিষ্ঠ নেতা মাইক শিরকি এবং রাজ্যের হাউজের স্পিকার লি চ্যাটফি ওই দিনই জানিয়ে দেন তাদের রাজ্যে বাইডেনেরই জয় হয়েছে। একই দিন জর্জিয়ায় জো বাইডেনের জয়ের সার্টিফিকেট দিয়েছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা। ট্রাম্পের ট্রাম্পকার্ড হিসেবে বাকি ছিল পেনসিলভানিয়া। এই রাজ্যে ৮০ হাজার ভোটে ট্রাম্পকে পেছনে ফেলেছেন বাইডেন। ডাকযোগে আসা এই রাজ্যের লাখ লাখ ভোট বাতিলের দাবিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের করা মামলা শনিবার খারিজ করে দিয়েছে আদালত। বাইডেনের জয় উল্টে দিতে ট্রাম্পের চেষ্টা এই রায়ের মধ্য দিয়ে মরণ ধাক্কা খেল।

এতোকিছুর পরও ট্রাম্প তার গোয়ার্তুমি ছাড়ছেন না। শনিবারও তিনি নিজেকে বিজয়ী দাবি করেছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ট্রাম্প যদি এভাবে নিজেকে বিজয়ী দাবি করে হোয়াইট হাউজ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান তাহলে শেষ পর্যন্ত কী হবে।

মার্কিন সংবিধানে বলা আছে, অভিশংসন কিংবা অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে দায়িত্ব পালনে অপরাগ হলে প্রেসিডেন্টকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা যায়। তবে কেউ মেয়াদের অতিরিক্ত সময় ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করলে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তার কোনো বিধান সংবিধানে নেই। কারণ মেয়াদ অতিক্রান্তের পর তিনি আর প্রেসিডেন্ট হিসেবেই গন্য হবেন না।

মার্কিন সংবিধানের ২০তম সংশোধনী অনুযায়ী, ২০ জানুয়ারি দুপুর ১১টা ৫৯ মিনিটে নির্বাচনে পরাজিত প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হয়। আর দুপুর ১২টায় শুরু হয় নতুন প্রেসিডেন্টের মেয়াদ। ওই সময় শপথ নিতে হয় তাকে। বাইডেন ওই দিন শপথ নিলে স্বাভাবিকভাবে তিনি হবেন নতুন প্রেসিডেন্ট। আর ট্রাম্প হবেন একজন সাধারণ বেসামরিক নাগরিক।

এরপরও ট্রাম্প ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করলে কিংবা হোয়াইট হাউজ থেকে বের হতে না চাইলে নতুন কমান্ডার ইন চিফ হিসেবে বাইডেন সেনাবাহিনী কিংবা গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তলব করতে পারেন। এরাই ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউজ থেকে বের করার কাজটি করবেন। সুতরাং ট্রাম্প যতোই হম্বিতম্বি করুক না কেন বাইডেন শপথ নিলে তাকে বাক্সপেটরা বগলদাবা করে হোয়াইট হাউজ ছাড়তেই হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড