• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৪০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

অমরত্বের আশায় ধর্মগুরু ও ২ শিষ্যের আত্মহত্যা!

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২২ নভেম্বর ২০২০, ২০:৪৫
করোনা
ছবি : সংগৃহীত

অমরত্ব লাভের আশায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন স্বঘোষিত এক ‘ধর্মগুরু’ ও তার দুই ‘শিষ্য’। দুঃখজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমের রাজ্য মহারাষ্ট্রের থানে জেলার সাহাপুর থানা এলাকায়। তাদের আত্মহত্যার খবর জানাজানি হওয়ার পরই উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।

স্থানীয় সূত্রের বরাতে দেশটির গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, গত কয়েক মাস ধরেই মহারাষ্ট্রের থানে জেলার সাহাপুরের বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী নীতীন বেহেরা নিজেকে একজন তান্ত্রিক তথা ধর্মগুরু বলে দাবি করছিলেন। এর মধ্যে কয়েকজন সঙ্গী জুটিয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় কার্যকলাপ করছিলেন তিনি।

তবে গত ১৪ নভেম্বর আচমকা ওই এলাকার আরও দুই তরুণকে নিয়ে কথিত ওই ধর্মগুরু নিখোঁজ হয়ে যান। এর পর গত শুক্রবার সকালে স্থানীয় জঙ্গলের একটি গাছে ওই দুই তরুণসহ নীতীনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান এলাকার মানুষ। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।

স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গত ১৪ নভেম্বর ওই গ্রামের মহেন্দ্র ধুভালে (২৮) ও তার ভাইয়ের ছেলে মুকেশ ঘাভত ও এক কিশোরকে নিয়ে স্থানী ওই জঙ্গলে যান নীতীন। এক গাছের নিচে বসে তারা মদ পান করে। আচমকা নীতীন অন্যদের বলে গলায় দড়ি দিয়ে গাছ থেকে ঝুলে পড়লে তারা অমর হয়ে যাবে।

এই কথা শুনে কিশোর পালিয়ে যায়। আর নীতীনসহ বাকিরা গলায় দড়ি দিয়ে গাছ থেকে ঝুলে পড়ে। পালিয়ে আসার বাকি তিন জনের মরদেহ উদ্ধার হলে ঘটনা সম্পর্কে এসব তথ্য পুলিশকে জানায় ওই কিশোর।

স্বঘোষিত ওই ‘ধর্মগুরুর’ প্রতিবেশীদের সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ঘটনার দিন চারটি শাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল নীতীন। পরে তার মরদেহ উদ্ধার হলে ওই কিশোরকে জেরা করে পুলিশ। তখন সব ঘটনার কথা জানা যায়। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করা হলেও এখনও তদন্ত করছে পুলিশ।

ওডি/

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড