• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আমিরাতের ওপর চটেছে যুক্তরাষ্ট্র, অনিশ্চিত অস্ত্র বিক্রি

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৯ নভেম্বর ২০২০, ১৬:৪১
আমিরাতের ওপর চটেছে যুক্তরাষ্ট্র, অনিশ্চিত অস্ত্র বিক্রি
যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি অস্ত্র (ছবি : প্রতীকী)

মধ্যপ্রাচ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবহারে মোটেও সন্তুষ্ট নন যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা। অতীতে আমিরাতের কাছে বিক্রি হওয়া অস্ত্র নানাভাবে অপরাধী গোষ্ঠীর হাতে গেছে, তাদের আরও অস্ত্র দিলে সেগুলোও বেআইনি পথে ব্যবহৃত হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির কাছে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি স্থগিত করতে চান মার্কিন সিনেটররা।

ডেমোক্র্যাট সিনেটর বব মেনেন্ডেজ ও ক্রিস মারফি এবং রিপাবলিকান সিনেটর র‌্যান্ড পল ঘোষণা দিয়েছেন, তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে কয়েক বিলিয়ন ডলার মূল্যের অত্যাধুনিক রিপার ড্রোন, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র, গোলাবারুদসহ অন্যান্য অস্ত্র বিক্রিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে চারটি পৃথক প্রস্তাবনা উপস্থাপন করবেন।

মার্কিন আইনপ্রণেতারা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসন আমিরাতের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র বিক্রি করতে তাড়াহুড়োর মাধ্যমে কংগ্রেসের সাধারণ পর্যালোচনা প্রক্রিয়া অবমাননা করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও এসব অস্ত্র বিক্রিতে জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলার উপায় সম্পর্কে তদন্তে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

আরও পড়ুন : ফ্রান্সে শরণার্থী শিবিরে উচ্ছেদ, বিপাকে হাজারো মানুষ

যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুসারে, সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটি এবং প্রতিনিধি পরিষদের (হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস) বিদেশ বিষয়ক কমিটির হাতে অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাবনা বাতিল করার ক্ষমতা রয়েছে।

যৌথ বিবৃতিতে সিনেটর মারফি বলেছেন, আমিরাত গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা অংশীদার। কিন্তু তাদের সাম্প্রতিক আচরণ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, এসব অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করতে ব্যবহৃত হতে পারে।

প্রভাবশালী এ সিনেটর বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত অতীতে অস্ত্র চুক্তি লঙ্ঘন করেছে, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিপজ্জনক সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে পৌঁছেছে। আর তারা লিবিয়া এবং ইয়েমেনে আন্তর্জাতিক আইন মানতে ব্যর্থ হয়েছে।

আরও পড়ুন : আফগানিস্তানের ৩৯ নাগরিককে হত্যা করেছে অস্ট্রেলিয়ার সেনারা

মূলত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন চুক্তির অংশ হিসেবেই আমিরাতকে অত্যাধুনিক এসব অস্ত্র দিতে চেয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। আগামী ২ ডিসেম্বর আমিরাতের জাতীয় দিবসের আগেই অস্ত্রগুলো তাদের হাতে পৌঁছানোর বিষয়ে এখনও সমঝোতার আশা করছে দুই পক্ষ।

চুক্তি অনুসারে, আমিরাতকে ১৪ হাজারের বেশি প্রাণঘাতী বোমা ও গোলাবারুদ দেয়ার কথা যুক্তরাষ্ট্রের। যে কোনো একক দেশের কাছে মার্কিনিদের ড্রোন বিক্রির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চালানও যাওয়ার কথা সেখানে।

আরও পড়ুন : এবার বলিভিয়ায় বিরল ভাইরাসের থাবা

যদিও মার্কিন সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য ক্রিস মারফি বলেছেন, কোনো বিদায়ী প্রেসিডেন্টের শেষ দিনগুলোতে এত বৃহৎ এবং এমন পরিস্থিতিতে অস্ত্র বিক্রি হওয়া উচিত নয়। কংগ্রেসকে এই বিপজ্জনক অস্ত্রের স্থানান্তর বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।

সূত্র : আল-জাজিরা

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড