• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

কারাবাখে সেনাবাহিনী মোতায়েনের অনুমোদন তুর্কি পার্লামেন্টের

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৮ নভেম্বর ২০২০, ১৪:০৯
কারাবাখে সেনাবাহিনী মোতায়েনের অনুমোদন তুর্কি পার্লামেন্টের
সীমান্তে মোতায়েন তুরস্ক ও আজারবাইজানের সেনা সদস্যরা (ছবি : রয়টার্স)

আজারবাইজানের কারাবাখ অঞ্চলে সেনা মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছে তুরস্কের পার্লামেন্ট। মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) তুর্কি পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি পাস হয়।

তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি এবং প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির মধ্যে নানা বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও উভয় দলের সদস্যরাই এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। যদিও অন্য দুই বিরোধী দল ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টি এবং দ্য গুড পার্টির সদস্যরাও এতে সমর্থন দেন।

কারাবাখের যুদ্ধ বন্ধে সম্প্রতি রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছায় আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। এতে নতুন করে যেন দুই দেশের মধ্যে সংঘাত তৈরি না হয় সেটি নিশ্চিত করতে কারাবাখে রুশ ও তুর্কি বাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হয়।

চুক্তি অনুযায়ী এরই মধ্যে কারাবাখে রুশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় নিজ দেশের বাহিনী মোতায়েনের আগে পার্লামেন্টের অনুমোদন নিতে হয়েছে তুরস্ককে।

আরও পড়ুন : বাগদাদে দফায় দফায় ভয়ঙ্কর ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত

বিশ্লেষকদের মতে, বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভেতরে অবস্থিত হলেও ইয়েরেভান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। ১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এই সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়। পরে ২০১৬ সালের শুরুতেও সংঘাতে জড়ায় দুই পক্ষ।

নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের পুরনো সংঘাত গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে আবার শুরু হয়। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, ভয়াবহ এ সংঘাতে এরই মধ্যে অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। উভয়পক্ষেরই দুই হাজারেরও বেশি করে মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোর সামরিক জোটের সদস্য আর্মেনিয়া, যার নেতৃত্বে রয়েছে রাশিয়া। আবার আজারবাইজানের ঘনিষ্ঠ মিত্র তুরস্ক। তুর্কি ও আজেরি রাজনীতিক ব্যক্তিত্বরা দুই দেশের সম্পর্ককে ব্যাখ্যা করতে একটি বাক্য ব্যবহার করে থাকেন। এটি হচ্ছে, ‘এক জাতি, দুই দেশ।’ দুই দেশের মানুষের ভাষা, সংস্কৃতি ও ধর্মের মিল রয়েছে।

আরও পড়ুন : সিরিয়ায় ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলায় নিহত ৩

উল্লেখ্য, এবার আর্মেনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে মূলত তুর্কি সামরিক সহায়তা নিয়ে বড় ধরনের জয় পেয়েছে আজারবাইজান। যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর তাই তুরস্ক ও নিজ দেশের পতাকা নিয়ে রাজপথে নেমে আসে আজেরিরা।