ইরাক-আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার একটি ‘ভুল’ সিদ্ধান্ত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর এরই মধ্যে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে ‘ভুল’ হিসেবে দেখছেন শীর্ষ রিপাবলিকানরা।
বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান সদস্য ইতোমধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনকে সতর্ক করে দিয়েছেন। সম্প্রতি মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর নিশ্চিত করেছে যে, তারা ইরাক এবং আফগানিস্তান থেকে ২ হাজার ৫শ'র বেশি সেনা সদস্যকে সরিয়ে নেবে।
অনেক আগে থেকেই নিজের দেশের সেনাদের ফিরিয়ে আনার কথা বলে আসছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অন্য দেশে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের বিষয়ে বরাবরই সমালোচনা করে আসছেন তিনি।
এ দিকে রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাক কনেল সবসময় ট্রাম্পকে সমর্থন করে আসলেও সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনাকে তিনিও সমর্থন করছেন না। তার মতে এটা একটি ‘ভুল’ সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন : পম্পেওকে পাত্তাই দিলেন না এরদোগান
একই সঙ্গে হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র নীতিতে আমূল পরিবর্তন এনে কোনো নীতি গ্রহণের বিষয়েও বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করেছেন তিনি।
আফগানিস্তানে বর্তমানে ৫ হাজার সৈন্য রয়েছে। আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝিতে এই সংখ্যা কমিয়ে ২ হাজার ৫শ করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। অপর দিকে ইরাকে বর্তমানে সেনা রয়েছে ৩ হাজার। এ থেকে সেনা কমিয়ে ২ হাজার ৫শ'তে নামিয়ে আনা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন যে, তিনি চান ক্রিসমাসের আগেই সেনারা সবাই দেশে ফিরে আসুন। তবে নির্বাচনের পর ট্রাম্প প্রশাসনে কিছুটা অস্থিরতা বিরাজ করছে। গত ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় ব্যবধানে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেনের কাছে হেরে গেছেন ট্রাম্প।
নির্বাচনে ৩০৬টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে জয় নিশ্চিত করেছেন জো বাইডেন। অপর দিকে ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২টি ভোট। মার্কিন গণমাধ্যমগুলোতে এর মধ্যেই বাইডেনকে জয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু নিজের পরাজয় কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ট্রাম্প। এমনকি ক্ষমতা হস্তান্তরেও তার প্রশাসনের কোনো তোড়জোড় দেখা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন : ইয়েমেনে হামলার জন্য চাইলেই অস্ত্র পাবে সৌদি!
যদিও মার্কিন মিডিয়ার দাবি, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যেই সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। কারণ ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন জো বাইডেন।
