• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

থাইল্যান্ডে কেনো অন্যরকম সরকারবিরোধী বিক্ষোভ?

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৪ নভেম্বর ২০২০, ১৮:০১
করোনা
ছবি : সংগৃহীত

থাইল্যান্ডে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ নতুন নয়। দেশটি এর আগেও বেশ কয়েকেবার সামরিক শাসনের কবলে পড়েছিল। এর ফলে সেনা শাসন কিংবা সেনা মদদপুষ্ট সরকারের বিরুদ্ধে দেশের রাজনীতিতে নিয়মিত বিরতিতে বিক্ষুব্ধতা লেগেই ছিল। এবারের বিক্ষোভের কারণও অচেনা নয়। দেশটির সাবেক সামরিক জান্তা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রায়ূথ চ্যান ওচার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

চলতি বছরে প্রায় শুরু থেকে সংঘটিত এ বিক্ষোভ কয়েকটি কারণে বেশ আলাদা। বিক্ষোভকারীরা চ্যান ওচা সরকারের পদত্যাগ দাবি করছে এবং রাজনীতিতে একটি আমূল সংস্কার চাওয়া হচ্ছে। এর বাইরে, প্রধান যে দাবিটি আলোচনায় এসেছে তা হলো, থাইল্যান্ডের শক্তিশালী রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীরা কথা বলছে। তারা বলছে, প্রত্যাশা অনুযায়ী রাজতন্ত্রের সংস্কার করতে হবে। থাইল্যান্ডের রাজনীতি এবং সমাজে রাজতন্ত্রের প্রভাব ব্যাপক। রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে এমন বিক্ষোভ সেখানে বিরল। রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালে ১৫ বছরের জেল হওয়ার আইনও রয়েছে দেশটিতে। কিন্তু এবারের বিক্ষোভে সেই ব্যাতিক্রমী চিত্রই লক্ষ্য করা গেছে। দেশের রাজা মাহা ভাজিরালংকন জার্মানিতে বসবাস করছেন, এ নিয়েও বেশ মানুষরা ক্ষুব্ধ। বিক্ষোভকারীরা প্রায়ুথ চ্যান ওচা সরকার কর্তৃক প্রণীত সংবিধান প্রত্যাখান করেছে এবং তারা এ সংবিধানকে সেনা প্রভাবিত বলে মনে করছে।

আজও থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত কয়েকদিন আগে রাজপ্রাসাদ অভিমুখে বিক্ষোভকারীদের মিছিলে পুলিশ বল প্রয়োগ করেছিল। কয়েকদিনের বিরতিতে আজ পুনরায় রাজধানীতে আয়োজিত কর্মসূচিতে আগের থেকে বেশি জমায়েত দেখা গেছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে দেখা গেছে। দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা সরকরকে ব্যাঙ্গ করে গান গাইছে এবং নাচছে। আজকের বিক্ষোভে পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে। ব্যাংককের রাস্তায় ৫১০০ পুলিশ অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা কোনো ধরণের সংঘাতের পথে যাবে না।

এ বিক্ষোভ পূর্বের যেকোনো সময়ে দেশটিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভের তুলনায় অন্যরকম হওয়ার আরও একটি বড় কারণ রয়েছে। থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা ও তারই বোন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার সমর্থকদের প্রভাব রয়েছে যারা হলুদ শার্টপন্থী বলে পরিচিত। এর মধ্যে থাকসিন সিনাওয়াত্রা ২০০৬ সালে সেনা বাহিনীর কাছে ক্ষমতা হারিয়েছিলেন এবং ২০১৪ সালে তার বোনও প্রধানমন্ত্রী ছেড়ে স্বেচ্ছা নির্বাসনে যান। দেখা গেছে, এ আগের বিক্ষোভগুলোয় এই হলুদ শার্টপন্থীরাই ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু এবার বিভিন্ন স্তরের ছাত্ররা এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের একজন তাত্তেপ রুয়ানপ্রাপাইকিতসেরে বলেন, আমাদের আন্দোলনে একক কোনো নেতা নেই। এই আন্দোলন অনলাইনে প্রচারের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় সংঘটিত হয় বলেও জানান তিনি। বিক্ষোভের উল্লৈখযোগ্য দিকটি হচ্ছে, ছাত্র নেতৃত্বরা দেশের রাজনীতির একগুচ্ছ পদ্ধতিগত পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্র: রয়টার্স, থাই ভোয়া।

ওডি/

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড