আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে হওয়া শান্তিচুক্তি রক্ষায় বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে যাচ্ছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুসারে, আগামী পাঁচ বছর অঞ্চলটিতে এক হাজার ৯৬০ জন রুশ সেনা মোতায়েন থাকবে।
১২টি উড়োজাহাজে করে ইতোমধ্যে শান্তিরক্ষী সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
শান্তিচুক্তির পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিজেভ জানিয়েছিলেন, এই শান্তি প্রক্রিয়ায় তুর্কি সেনারাও অংশ নেবে। তবে তার একথা সঠিক নয় বলে দাবি করেছে রাশিয়া।
বিবৃতির মাধ্যমে ক্রেমলিন জানিয়েছে, শান্তিচুক্তিতে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে তুর্কি সেনা মোতায়েনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
আরও পড়ুন : যুদ্ধ বন্ধে আজারবাইজানের শর্ত মেনে চুক্তিতে গেল আর্মেনিয়া
বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখে সামরিক সংঘাত নিরসনে গত সোমবার ঐতিহাসিক এক শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে আর্মেনিয়া, আজারবাইজান ও রাশিয়া। আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে চলা যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চুক্তিতে সই করেছে রাশিয়া।
নতুন চুক্তি অনুযায়ী, চলমান সংঘাতে নাগোরনো-কারাবাখের যেসব এলাকা আজারবাইজান দখলে নিয়েছে সেগুলো তাদের দখলেই থাকবে। এছাড়া, আজারবাইজান সংলগ্ন আরও কিছু এলাকায় আর্মেনিয়ার যেসব সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাদের সরিয়ে নিতে হবে।
চুক্তির পর আজারি প্রেসিডেন্ট উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এক টুইটে বলেছেন, এটা একটা ঐতিহাসিক দিন। আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের মধ্যে নাগোরনো-কারাবাখ বিরোধ শেষ হচ্ছে।
আরও পড়ুন : ইসরায়েলে আঘাত হানতে ভয়ঙ্কর ক্ষেপণাস্ত্রের ভিডিয়ো প্রকাশ ইরানের
তবে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান চুক্তিটিতে তার ও দেশের মানুষের জন্য ‘ভাষায় বর্ণনাতীত কষ্টদায়ক’ বলে অভিহিত করেছেন। যদিও তার এমন আবেগঘন ফেসবুক পোস্টে ক্ষোভ মেটেনি আর্মেনিয়দের। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার মাত্র ২০ মিনিটের মাথায় দেশটির রাজধানী ইয়েরেভানে সরকারি ভবনের সামনে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে ক্ষুব্ধ জনতা।
এ দিকে তিন দেশের মধ্যে হওয়া শান্তিচুক্তিতে আর্মেনিয়ার স্বার্থরক্ষার দাবি জানিয়েছে ফ্রান্স। ফরাসি প্রেসিডেন্টের বাসভবন এলিসি প্যালেস থেকে বিবৃতির মাধ্যমে বলা হয়, আর্মেনিয় জনগণের নিরাপত্তা ও তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে গ্যারান্টির পাশাপাশি এই অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার নিশ্চয়তার বিষয়ে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ফ্রান্স।
আরও পড়ুন : চাঞ্চল্যকর ছবি প্রকাশ, ডোকলামে নয়া টানেল চীনের
বিবৃতিতে বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে যে কোনো ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড পরিহারে তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফরাসি সরকার।
সূত্র : আল-জাজিরা