সীমান্তে আর্মেনীয় হামলা বন্ধে ভয়ঙ্কর ক্ষেপণাস্ত্র বসাচ্ছে ইরান

বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে বিদ্যমান সংঘাতের জেরে প্রতিবেশী রাষ্ট্র আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সীমান্তে শক্তি বাড়াতে যাচ্ছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। দেশটির সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ সাইয়্যেদ আব্দুর রহিম মুসাভি বলেছেন, আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া সীমান্তে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হবে।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা পার্সটুডে খবরে বলা হয়, ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলেই আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার অবস্থান। প্রায় এক মাস ধরে নাগোরনো-কারাবাখ আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করতে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে তুরস্কের ঘনিষ্ঠ মিত্র আজারবাইজান। এলাকাটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের বলে স্বীকৃতি হলেও আর্মেনিয়া সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় তা নিয়ন্ত্রণ ও শাসন করছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।

রবিবার (২৫ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল সংঘাতে লিপ্ত উভয় দেশ। যদিও সংঘর্ষ থামাতে এই চুক্তির তেমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। এর আগেও রাশিয়ার মধ্যস্থতায় দুই দফা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও তা উপেক্ষা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালেও বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল বলে নাগোরনো-কারাবাখ কর্তৃপক্ষ বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে। আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনটি ফ্রন্টলাইন এলাকায় সংঘাত কেন্দ্রীভূত হচ্ছে। চলমান সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি রকেট ইরানি ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন : আর্মেনিয়ার হাত থেকে আরেকটি অঞ্চল মুক্ত করল আজারবাইজান

মঙ্গলবার ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটের প্রস্তুতি পর্যালোচনার পর মুসাভি বলেন, ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও আন্তর্জাতিক সীমানা মেনে চলাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় ইরান।

এ সময় দেশের জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তাকে রেড লাইন হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। তার মতে, তাকফিরি, দায়েশ ও ইহুদি সন্ত্রাসীরা বিশ্বের সর্বত্রই রয়েছে। যেখানেই তারা যাবে সেখানে সমস্যা ও অনিরাপত্তা সৃষ্টি করবে।

আরও পড়ুন : ক্ষোভ বাড়ছেই, বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বে ফরাসিদের বিশেষ সতর্কতা

আব্দুর রহিম মুসাভি বলেন, অতীতে আমরা যেমনটি করেছি আমাদের সীমান্তের কাছে এ ধরণের কোনো সন্ত্রাসীর তৎপরতা থাকলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।