আন্তর্জাতিক ডেস্ক
এশিয়ার পরাশক্তি চীনকে চাপে রাখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সঙ্গে ভারতের মালাবায় আয়োজিত নৌ মহড়ায় অংশ নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ঘটনাটিকে বেইজিংয়ের প্রতি এই চার দেশের চ্যালেঞ্জের প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, ক্যানবেরার কয়েক দফা অনুরোধ এবং এ বিষয়ে ওয়াশিংটন ও টোকিওর লবিংয়ের পর মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) নয়াদিল্লি নভেম্বরে হতে যাওয়া মালাবার নৌ মহড়ায় অস্ট্রেলিয়াকে আমন্ত্রণ জানায়।
এ দিকে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ‘কোয়াড’ নামে পরিচিত আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপান।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডিফেন্স স্টাডিজ সেন্টারের অধ্যাপক জন ব্লাজল্যান্ড বলেন, এখানে একটি সাধারণ কারণ আছে, এটি বোঝা মুশকিল নয়। যা এই দেশগুলো তাদের অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ কাটিয়ে উঠতে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চাইছে।
আরও পড়ুন : ইরানের অর্ধেক দেশ নিয়ে শুরু ভয়ঙ্কর সামরিক মহড়া
তিনি আরও বলেন, চীনের ‘যুদ্ধংদেহী’ কূটনীতি, দক্ষিণ চীন সাগরের বিষয়ে আলোচনায় অনাগ্রহ, ভারত মহাসাগর জুড়ে ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দৃঢ় অবস্থান। এসবই যথেষ্ট অস্থিরতা তৈরি করেছে এবং চীনের জনপ্রিয়তা কমিয়ে দিয়েছে।
অপর দিকে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস পেইন সোমবার (১৯ অক্টোবর) বলেছিলেন, বর্ধিত এই মহড়া চার দেশের এ অঞ্চলে 'শান্তি ও স্থিতিশীলতা' বজায় রাখার জন্য একসঙ্গে কাজ করার সক্ষমতা জোরদার করবে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানায়, মহড়ায় অংশগ্রহণকারীরা সমুদ্র সীমায় ‘সুরক্ষা ও নিরাপত্তা’ বাড়াতে সহযোগিতা করবে।
আরও পড়ুন : মুক্ত করা ২৪ গ্রামে পতাকা উড়াল আজারবাইজান (ভিডিয়ো)
উল্লেখ্য, জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে গণতান্ত্রিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ২০০৭ সালে প্রথম ‘কোয়াড’ গঠনের কথা ভাবেন। সূচনা পর্বে মাত্র এক দফা সংলাপ ও একবারই দেশগুলো যৌথ মহড়া করেছিল।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড