আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বিতর্কিত লাদাখ সীমান্তে ভয়াবহ যুদ্ধের জন্য এশিয়ার পরাশক্তি চীনের সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাই ভারতও পাহাড়ের উচ্চতায় শীতের সময় যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। মূলত এ জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে জরুরি ভিত্তিতে ভারতীয় সেনাদের জন্য শীতের পোশাক আনছে মোদী সরকার।
সেনা সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল জানিয়েছে, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র দু’দেশের বাহিনীর মধ্যে একটি চুক্তি রয়েছে যার সাহায্যে একে অন্যের থেকে অস্ত্র, জ্বালানি, যুদ্ধবিমান, ট্যাঙ্ক প্রভৃতির অংশ এবং অন্যান্য সরঞ্জাম নিতে পারে। ২০১৬ সালে ভারত ও মার্কিন সেনার মধ্যে এই ‘দ্য লজিস্টিকস এক্সচেঞ্জ মেমোরান্ডাম এগ্রিমেন্ট’ হয়েছিল।
এই পদক্ষেপ থেকেই পরিষ্কার শীতের সময়েও লাদাখ থেকে সেনা সরাতে চাইছে না নয়াদিল্লি। কিছু দিন আগেই জানা গিয়েছিল, শীতকালেও লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা সরাতে চাইছে না ভারত।
সে সময় বরং কীভাবে সেনা মোতায়েন করে রাখা যায় তা নিয়ে গত মে-জুন মাসেই বৈঠকে বসেছিলেন সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে। সেনার কম্যান্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে এই বিষয়ে একটি ব্লু-প্রিন্টও তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : সৌদির ভাড়াটে সেনাদের আস্তানায় হুথিদের ভয়াবহ আক্রমণ
সম্প্রতি লাদাখে সি-১৭ গ্লোব মাস্টার ক্যারিয়ার এয়ারক্রাফট পাঠিয়েছে ভারত। ভারতীয় বিমানবাহিনীর এই বিমানে করে জওয়ান, রসদ থেকে শুরু করে অস্ত্র, ট্যাঙ্ক সবকিছু পরিবহণ করা সম্ভব।
বিশ্লেষকদের মতে, শীতকালে লাদাখের তাপমাত্রা মাইনাসে চলে যায়। সে সময় সেনা সরিয়ে নেওয়ার এক অলিখিত নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা চলায় সেনা সরাতে চাইছে না কোনো দেশ। তারাও নিজেদের বাহিনীকে মোতায়েন রাখতে চাইছে। আর এই ঠাণ্ডায় সেনা মোতায়েন রাখতে গরম পোশাকের প্রয়োজন।
আরও পড়ুন : আজারবাইজানে আর্মেনীয় গোলাবর্ষণ বন্ধের নির্দেশ জাতিসংঘের
উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত জওয়ানদের জন্য শীতের পোশাক ইউরোপ ও চীনের থেকেই নিত ভারত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উত্তপ্ত। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল হওয়ার ফলে যুক্তরাষ্ট্র থেকেই এই গরম পোশাক কিনছে ভারত।