• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আজারবাইজানে আর্মেনীয় গোলাবর্ষণ বন্ধের নির্দেশ জাতিসংঘের

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৯ অক্টোবর ২০২০, ১৩:২৪
আজারবাইজানে আর্মেনীয় গোলাবর্ষণ বন্ধের নির্দেশ জাতিসংঘের
সীমান্তে যুদ্ধরত সেনা সদস্যরা (ছবি : প্রতীকী)

রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়া সত্ত্বেও থামছে না আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যকার ভয়াবহ যুদ্ধ। বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে সৃষ্ট এই যুদ্ধে রবিবার (১৮ অক্টোবর) আর্মেনিয়ার আরও ৩৭ সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এতে দুই দেশেরই সামরিক বাহিনীর হাজার খানেক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার প্রতি নতুন যুদ্ধবিরতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। একই সঙ্গে তিনি বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে যুদ্ধে আজেরি বেসামরিক লোকজনের ওপর আর্মেনীয় আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছেন।

শনিবার (১৭ অক্টোবর) আজারবাইজানের দ্বিতীয় নগরী গানজার আবাসিক এলাকায় আর্মেনিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শিশুসহ ১৩ জন প্রাণ হারানোর প্রসঙ্গে গুতেরেস এ নিন্দা জানান।

আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া অস্ত্র বিরতির বিষয়ে সম্মত হলেও রবিবার (১৮ অক্টোবর) উভয় দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে তা না মানার অভিযোগ তোলে।

আরও পড়ুন : সৌদির ভাড়াটে সেনাদের আস্তানায় হুথিদের ভয়াবহ আক্রমণ

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারেক বিবৃতির মাধ্যমে বলেন, গানজা শহরের হামলায় শিশুসহ যে সকল বেসামরিক লোক মারা গেছে তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মহাসচিব ১৮ অক্টোবর শুরু হওয়া অস্ত্রবিরতি উভয় পক্ষকে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি অবিলম্বে বাস্তবসম্মত আলোচনা পুনরায় শুরু করারও আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন : প্রতিশোধ নিচ্ছে আজারবাইজান, আর্মেনীয় সেনা হত্যার ভিডিয়ো ভাইরাল

আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীরা কারাবাখ-নাগোরনোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ১৯৯০ সালের পর থেকেই থেকে থেকে সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে। এসব সংঘর্ষ সহিংসতায় ৩০ হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটে।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিজেভ যুদ্ধের শুরুতে জানিয়েছিলেন একমাত্র তখনই তারা যুদ্ধ থামাবে যখন আর্মেনিয়া নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল ছেড়ে যাবে। আজারবাইজান তাদের রাষ্ট্রাধীন অঞ্চলের অখণ্ডতা পুনরুদ্ধার করছে এবং সেটা উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত তারা থামবে না।

আরও পড়ুন : রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রে যুদ্ধ করছে আর্মেনিয়া, অভিযোগ এরদোগানের

এখন পর্যন্ত দুটি দেশ একাধিকবার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেও বারংবার তা লঙ্ঘন করেছে। হামলা করেছে একে-অপরকে। ভয়াবহ সেই হামলায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি শত শত বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এমনকি গৃহহীন হয়েছেন হাজার হাজার জনগণ।