আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গিলগিট-বালতিস্তান (জিবি) বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে চলতি বছরের ১৫ নভেম্বর। এই নির্বাচনে ৭ লাখেরও বেশি মুসলিম ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দেবেন। তবে খ্রিস্টান, শিখ এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু যারা দীর্ঘকাল ধরে গিলগিট-বালতিস্তানে বসবাস করছেন তারা প্রার্থী হিসেবে এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না এবং নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন না।
যদিও গিলগিট-বালতিস্তানে পূর্ববর্তী সরকারের আমলে, ২০১৫ সালে আইন সংশোধন করে এই সংখ্যালঘুদের সেখানকার স্থানীয় সংস্থাগুলোর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার দেওয়া হয়েছিল।
মানবাধিকার কর্মী ও পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশনের সমন্বয়কারী ইসরার উদ্দিন বলেছিলেন যে, ৫০০ এরও বেশি খ্রিস্টান, শিখ ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বর্তমানে গিলগিট-বালতিস্তানে বসবাস করছেন। যাদের সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ও ভোটাধিকার প্রয়োগের কোন সুযোগ নেই।
তিনি বলেছিলেন, 'যদিও আমাদের সংবিধান তাদের স্পষ্টতই রাজনৈতিক অধিকারের গ্যারান্টি দিয়েছে, তবুও তারা এই নির্বাচনে তাদের নিজস্ব প্রার্থী বেছে নিতে পারবে না।' ইসরার আরো বলেন, এটি পাকিস্তানের সংবিধানের ঘৃণ্য লঙ্ঘন কারণ আমরা আমাদের নিজস্ব মানুষকে তাদের রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছি।
বিষয়টি জাতীয় পর্যায়ে নেওয়ার ইচ্ছা ছিল জানিয়ে ইসরার উদ্দিন বলেছেন, ২০১৬ সালে পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশনের প্রয়াত চেয়ারপারসন আসমা জাহাঙ্গীরের তত্ত্বাবধানে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল, যারা নীতিনির্ধারণী স্তরে সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার জন্য তাদের সুপারিশ প্রেরণ করে। ইসরার আহমদ আরো বলেছিলেন যে, শিগগিরই আমি আমার সুপারিশগুলো উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবো।
প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, প্রগতিশীল নেতা এবং প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট এহসানও গিলগিট-বালতিস্তানে সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক অধিকার রক্ষায় কিছু করার ওপর জোর দিয়েছেন। যাতে তারা এই নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারে এবং ভোট দিয়ে নিজেদের পছন্দের নেতৃত্ব বেছে নিতে পারে। সূত্র : দ্য ন্যাশনাল।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড