• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আজারবাইজানে উড়ছে বন্ধু পাকিস্তান-তুরস্কের পতাকা!

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৪ অক্টোবর ২০২০, ১১:৩৪
আজারবাইজানে উড়ছে বন্ধু পাকিস্তান-তুরস্কের পতাকা!
আজারবাইজানে উড়ছে পাকিস্তান ও তুরস্কের পতাকা (ছবি : দ্য ডন)

নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর প্রতিবেশী দেশ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে শুরু হয় তীব্র লড়াই। এরই মধ্যে যা গত ৩০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বিতর্কিত অঞ্চলটি নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে দীর্ঘ লড়াইয়ের ইতিহাস রয়েছে। ১৯৯০-এর দশকে সংঘটিত যুদ্ধে উভয় পক্ষের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ নিহতের পর এবারের লড়াইটি সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে চলে গেছে।

আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করেই আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে হামলা অব্যাহত রেখেছে। তবে তার আগ থেকেই নাগোরনো-কারাবাখের বিতর্কিত যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে সংঘটিত যুদ্ধে আজারবাইজানকে সমর্থন দেয় পাকিস্তান ও তুরস্ক।

রণকৌশল সাজাতে এবং যুদ্ধবহর শক্তিশালী করতে আজারি বাহিনীকে উল্লেখযোগ্য সহযোগিতা দিয়েছে তুরস্ক। এই যুদ্ধে তুরস্কের তৈরি ড্রোনই হামলার দৃশ্য এবং ফল বদলে দিয়েছে। তাই কৃতজ্ঞতা স্বরূপ বাকুতে সাধারণ মানুষ উড়াচ্ছে পাকিস্তান ও তুরস্কের পতাকা।

আজারবাইজানের অবস্থানকে সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। দেশটির আন্তঃ বাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।

আরও পড়ুন : আর্মেনীয় সেনাদের হত্যা করে ভয়ঙ্করভাবে প্রতিশোধ নিচ্ছে আজারবাইজান (ভিডিয়ো)

অন্য দিকে আজারবাইজানকে ব্যাপক রাজনৈতিক, সামরিক–প্রযুক্তিগত ও নৈতিক সমর্থন প্রদান করেছে ইউরোপের মুসলিম রাষ্ট্র তুরস্ক। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধক্ষেত্রে আজারবাইজান তুলনামূলকভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে এবং আজারবাইজানের এই সাফল্যের ক্ষেত্রে তুর্কি সহায়তা একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে ভূমিকা রেখেছে।

নাগোরনো-কারাবাখের আর্মেনীয় সামরিক কর্মকর্তারা জানান, আজারবাইজানের সঙ্গে সংঘর্ষে সোমবার (১২ অক্টোবর) তাদের আরও ১৭ সৈন্য নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর নাগোরনো-কারাবাখে দুই প্রতিবেশীর সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত আর্মেনিয়ার ৫৪৩ সৈন্য প্রাণ হারালেন।

আরও পড়ুন : আজারবাইজানের গোলায় ধ্বংস আর্মেনিয়ার শক্তিশালী পাঁচ ড্রোন (ভিডিয়ো)

অন্য দিকে আজারবাইজানের সামরিক বাহিনীরও বেশকিছু সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আজেরি বাহিনী।