আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পারস্য উপসাগরীয় দেশ কাতারে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সদ্য ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা কথিত মুসলিম রাষ্ট্র সংযুক্ত আরব আমিরাত। আঙ্কারা এর মাধ্যমে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আমিরাতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনোয়ার গারগাশ।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত শনিবার (১০ অক্টোবর) মধ্যপ্রাচ্যে তুরস্কের সামরিক উপস্থিতির তীব্র সমালোচনা করে দেওয়া টুইটার পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে তুরস্কের সামরিক উপস্থিতি অনেকটা জরুরি অবস্থা জারির মতো বলে মন্তব্য করেন আনোয়ার গারগাশ। তিনি বলেছিলেন, তুরস্ক মেরুকরণ জোরদার করেছে এবং এ অঞ্চলের দেশগুলোর স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও জনগণের স্বার্থকে বিবেচনায় নেয়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, ২০১৭ সালের ৫ জুন সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, কুয়েত ও মিশরসহ কয়েকটি দেশ।
আরও পড়ুন : আর্মেনিয়াকে ধ্বংস না করে বাড়ি ফিরবে না তুরস্কের সেনারা
অনাকাঙ্ক্ষিত এই সংকট শুরুর দুইদিন পর তুরস্কের পার্লামেন্ট কাতারে তাদের সামরিক ঘাঁটিতে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের সামরিক সম্পর্ক আরও জোরদার হয়। অবরোধ জারিকৃত দেশগুলোর ১৩ দাবির মধ্যে একটি ছিল কাতার থেকে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি প্রত্যাহার করা। তবে সেই পথে হাঁটেনি কাতার।
২০১৫ সালের ১৮ জুন তারিক ইবন জিয়াদ সামরিক ঘাঁটিতে প্রথমবারের মতো অবস্থান নেয় তুর্কি সেনারা। এতে করে কাতারের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। সন্ত্রাস দমন করে এই অঞ্চলে শান্তিও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আশা ব্যক্ত করেন উভয় দেশের নেতারা।
আরও পড়ুন : উত্তেজনা বাড়িয়ে ফের ভূমধ্যসাগরে জাহাজ পাঠাচ্ছেন এরদোগান
কাতারে মোতায়েন করা তুর্কি সেনারা পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করছে বলে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান মন্তব্য করার পর সম্প্রতি সৌদির এক প্রিন্স তুরস্কের পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড