• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আর্মেনিয়াকে ধ্বংস না করে বাড়ি ফিরবে না তুরস্কের সেনারা

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১১ অক্টোবর ২০২০, ১৪:০৬
আর্মেনিয়াকে ধ্বংস না করে বাড়ি ফিরবে না তুরস্কের সেনারা
সীমান্তে গোলাবর্ষণ করছে তুর্কি সেনারা (ছবি : প্রতীকী)

সমঝোতার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। এবার আজেরি সেনারা আর্মেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে নির্লজ্জের মতো যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। ফলে উভয় রাষ্ট্রের মধ্যেই সত্যিকারে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়া নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে আর্মেনিয়াকে আবারও ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি দিল ইউরোপের মুসলিম রাষ্ট্র তুরস্ক। আঙ্কারার দাবি, আর্মেনিয়াকে অবশ্যই আজারবাইজানের কাছে তাদের অধিকৃত অঞ্চল সমর্পণ করতে হবে। নয়তো আর্মেনিয়াকে ধ্বংস করার আগ পর্যন্ত আমাদের সেনারা বাড়ি ফিরবে না। শনিবার (১০ অক্টোবর) আঙ্কারার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় টুইট বার্তায় এ হুঁশিয়ারিটি দেয়। খবর ট্রেন্ড নিউজের।

টুইট বার্তায় বলা হয়, আজারবাইজানের সেনাবাহিনী দখলকৃত অঞ্চলগুলো মুক্ত করে বিরত্বপূর্ণভাবে বিজয় অর্জন করেছে।

তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও বলে, আর্মেনিয়াকে অবশ্যই দখলকৃত অঞ্চল তাদের অধিকারপূর্ণ মালিকের কাছে ফেরত দিতে হবে। আজারবাইজানি ভাই-বোনদের পাশে শেষ পর্যন্ত থাকবে তুরস্ক।

আরও পড়ুন : ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে এবার ফিলিস্তিনিদের পিঠে খঞ্জর বসাচ্ছে সৌদি!

গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিবাদপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখের মালিকানা ঘিরে প্রতিবেশী দুই দেশে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ১৯৯০ এর দশকের পর এই অঞ্চলে এত বড় সংঘাত আর দেখা যায়নি।

টানা দুই সপ্তাহ যাবত চলা এ সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩০০ জন। উভয়পক্ষের গোলা, রকেট ও ড্রোন হামলায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। এ সহিংসতার জন্য উভয় পক্ষই একে অপরকে দায়ী করেছে।

যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অনুরোধ জানালেও তাতে রাজি হচ্ছিল না আর্মেনিয়া-আজারবাইজান কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দুই দেশের নেতাদের কাছে ফোন করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এস ময় তিনি আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মস্কোয় গিয়ে শান্তি আলোচনায় অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানান। তার এ আহ্বানে সাড়া দিয়েই শনিবার আলোচনায় বসেছিলেন দুই দেশের মন্ত্রীরা।

আরও পড়ুন : সৌদিতে দফায় দফায় ড্রোন হামলা ইয়েমেনের

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, শনিবার (১০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল থেকে মস্কোয় টানা ১০ ঘণ্টার আলোচনা শেষে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে পৌঁছায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান কর্তৃপক্ষ।

বৈঠক শেষে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্জেই ল্যাভরভ জানান, ১০ অক্টোবর মধ্যরাত থেকেই এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে। এই সুযোগে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সংঘর্ষে নিহতদের মরদেহ এবং বন্দিদের বিনিময় করবে। যদিও যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই দুই পক্ষ শর্ত লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছে।

আর্মেনীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, আজারবাইজান আর্মেনিয়ার মধ্যে একটি স্থাপনায় বোমা হামলা করেছে। তাদের দাবি, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পাঁচ মিনিটের মাথায় আজারি বাহিনী আবারও সহিংস পদক্ষেপ শুরু করেছিল।

আরও পড়ুন : যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে আজারবাইজানে নির্লজ্জের মতো গোলাবর্ষণ আর্মেনিয়ার

বিপরীতে আজারবাইজান দাবি করেছে, শত্রুপক্ষই শর্ত ভেঙে তাদের এলাকায় হামলা চালিয়েছে। তবে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান উভয়ই প্রতিপক্ষের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।