আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে চলমান যুদ্ধে প্রতিপক্ষ আর্মেনিয়ার তিন শতাধিক সেনাকে হত্যার দাবি করেছে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) বিবৃতির মাধ্যমে আজেরি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দাবিটি করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আর্তস্রান হোভহানিসিয়ান জানান, চলমান যুদ্ধে আর্মেনিয়ার তিন শতাধিক সেনার মৃত্যু ছাড়াও ১১টি সাজোয়া যান, ২টি হেলিকপ্টার ও ২টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বিরোধপূর্ণ অঞ্চলটিতে শুক্রবার টানা ১২ দিনের মত সংঘর্ষ চলমান রয়েছে। সংঘর্ষে উভয় দেশেরই ক্ষয়-ক্ষতি হলেও আজারবাইজান বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে।
এ দিকে দু’দেশের হামলা পাল্টা হামলায় সামরিক ছাড়াও অনেক বেসামরিক লোকেরও মৃত্যু ঘটেছে। তবে সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে উভয় দেশ।
আরও পড়ুন : যুদ্ধে হেরে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাচ্ছে আর্মেনীয়রা (ভিডিয়ো)
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্যানুসারে, সাধারণ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে উভয় দেশের সেনাবাহিনী। এতে শত শত ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাধ্য হয়ে মানুষকে আশ্রয় নিতে হয়েছে বাঙ্কারে। ভয়াবহ এই হামলার জন্য উভয় পক্ষকে দায়ী করেছে স্থানীয়রা।
অপর দিকে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে সংঘাতকে বিপর্যয় হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পার্বত্য উপত্যকার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে মস্কো উদ্বেগে আছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেছিলেন, যা হচ্ছে তা এভাবে চলতে পারে না। প্রতিদিনই অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। দুই দেশের জন্যই এটা ক্ষতিকর। আজারবাইজান, আর্মেনিয়া, নাগোরনো-কারাবাখ যাই বলুন এরা কেউ আমাদের অপরিচিত নয়। রাশিয়াতে দুই দেশের প্রায় ৪০ লাখ মানুষ আছে। আমি আশা করব, খুব দ্রুত এই সংঘাতের অবসান হবে।
আরও পড়ুন : আর্মেনিয়ার ঐতিহাসিক গির্জায় আজারবাইজানের ভয়াবহ গোলাবর্ষণ (ভিডিয়ো)
অঞ্চলটিতে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে ন্যাটো। আর বৃহস্পতিবার জেনেভায় ইস্যুটি নিয়ে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর সাথে আলোচনার কথা জানিয়েছে ফ্রান্স। একই সঙ্গে সমস্যা সমাধানে আগামী সপ্তাহে রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠক করা হবে বলেও জানিয়েছে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।