• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আর্মেনিয়াকে আরও ভয়ঙ্কর যুদ্ধের হুঁশিয়ারি ইরানের

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৮ অক্টোবর ২০২০, ০৮:২৬
আর্মেনিয়াকে আরও ভয়ঙ্কর যুদ্ধের হুঁশিয়ারি ইরানের
আক্রমণের জন্য প্রস্তুত ক্ষেপণাস্ত্র (ছবি : প্রতীকী)

জাতিগত আর্মেনীয় ও আজারিদের মধ্যে সংঘাত যে কোনো মুহূর্তে আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের নাগোরনো-কারাবাখে প্রতিবেশী দুই দেশ আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার টানা ১১ দিনের হামলা পাল্টা-হামলায় এই শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

নাগোরনো-কারাবাখের ভেতরে এবং বাইরে আজারি-আর্মেনীয় হামলায় এখন পর্যন্ত তিন শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভূক্ত দেশ দুটির মাঝে নাগোরনো-কারাবাখ ঘিরে কয়েক দশকের পুরনো সংঘাত রয়েছে।

আজারবাইজানের ভেতরে অবস্থিত জাতিগত আর্মেনীয়দের শাসনাধীন নাগোরনো-কারাবাখকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অঞ্চল হিসেবে মনে করে আজারবাইজান। আন্তর্জাতিক আইনেও নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত।

আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার সংঘাতে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র এবং মর্টার শেল সীমান্তে ইরানি ভূখণ্ডে পড়ছে বলে তেহরানের গণমাধ্যমে খবর আসার পর ইরানের মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে হাসান রুহানি বলেন, ইরানের মাটিতে যে কোনো ধরনের মর্টার বোমা এবং ক্ষেপণাস্ত্রের অবতরণ একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।

আরও পড়ুন : নাগোরনো-কারাবাখে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

নাগোরনো-কারাবাখের সংঘাতে ইরানের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে বোমা এবং ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ায় একজন শিশু আহত ও বেশ কিছু বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছে তেহরান।

রুহানি বলেছেন, আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের সংঘাত যেন আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ না নেয়, সে দিকে আমাদের অবশ্যই মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের কর্মকাণ্ডের মূল ভিত্তি হচ্ছে শান্তি। আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ফেরানোর প্রত্যাশা করছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অগ্রাধিকারের বিষয় হলো- শহর এবং গ্রামগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করা। প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার সঙ্গে সীমান্ত থাকলেও কোনো অজুহাতেই ইরান সীমান্তে সন্ত্রাসীদের পাঠাতে দেওয়া হবে না।

আরও পড়ুন : চীনে গোলা ফেলতে ১৯৮০ সালে তৈরি যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত

তুরস্ক সিরিয়া থেকে জিহাদিদের সরিয়ে নিয়ে ওই অঞ্চলে মোতায়েন করেছে বলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো অভিযোগ করার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট এই হুঁশিয়ারি দিলেন।

আজারবাইজানের ঘনিষ্ঠ মিত্র আঙ্কারা নাগোরনো-কারাবাখে জিহাদিদের সরিয়ে নেয়ার এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইরান সমর্থিত বিদ্রোহীরা লড়ছে।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার সংঘাতে তুরস্ক এবং আজারবাইজানের নেওয়া পদক্ষেপ সন্ত্রাসী হামলার শামিল বলে অভিযোগ করেছেন আর্মেনীয় প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনইয়ান। তিনি বলেন, তুর্কি সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধার এবং আর্মেনীয় গণহত্যা অব্যাহত রাখার নীতি নিয়েছে তুরস্ক। এটা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই।

আরও পড়ুন : কারাবাখ থেকে আর্মেনীয় সেনাদের সরিয়ে ফেলার নির্দেশ ইরানের

১৯১৫ থেকে ১৯২৩ সাল পর্যন্ত অটোম্যান সাম্রাজ্যের শাসনামলে প্রায় ১৫ লাখ আর্মেনীয় গণহত্যার শিকার হন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় অটোম্যান বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অনেক আর্মেনীয় নিহত হন বলে স্বীকার করে তুরস্ক। তবে গণহত্যার অভিযোগ ও সংঘর্ষে নিহতদের সংখ্যা সঠিক নয় বলে জানায় আঙ্কারা।

সূত্র : রয়টার্স

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড