আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পার্লামেন্ট নির্বাচনে বাতিলের দাবিতে কিরগিজস্তানে ছড়িয়ে পড়ছে ভয়াবহ রকমের বিক্ষোভ। গত রবিবার (৪ অক্টোবর) দেশটিতে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্কিত সেই নির্বাচনে ভোট কেনা-বেচার অভিযোগ তুলেছেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনের কিছু ফুটেজে দেখা গেছে, আন্দোলনকারী জনতা প্রেসিডেন্ট সুরনবই জিনবেকভের অফিসের ভবনের কিছু অংশ আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। এছাড়া অনেকে কিরগিজস্তানের পার্লামেন্টে ঢুকেও ভাঙচুর চালিয়েছেন।
জানা গেছে, কিরগিজস্তানের পার্লামেন্ট সুপ্রিম কাউন্সিলের আসন সংখ্যা ১২০টি। দেশটির আইন অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোট অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আসন বণ্টন করা হয়। যদিও পার্লামেন্টে কোনো আসন পেতে গেলে যে কোনো দলকে ন্যূনতম সাত শতাংশ ভোট পেতে হয়।
এবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয় কিরগিজস্তানের ১৬টি রাজনৈতিক দল। যার মধ্যে কেবল চারটি দল পার্লামেন্টে আসন পাওয়ার ন্যূনতম শর্ত পূরণ করতে পেরেছে। এদের মধ্য থেকে তিনটি দল আবার প্রেসিডেন্ট সরোনবাই জিনবেকভের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত।
আরও পড়ুন : আর্মেনীয়দের চরম নিষ্ঠুরতায় সেদিন উচ্ছেদ হয়েছিল লক্ষ আজেরি
এর মধ্যে দুটি দল ২৫ শতাংশ করে ভোট পেয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ভোট কেনাবেচা এবং হস্তক্ষেপের দাবি ‘বিশ্বাসযোগ্য’ এবং মারাত্মক উদ্বেগের কারণ।
এমন প্রেক্ষাপটে কিরগিজস্তানের বিরোধী দলগুলো ভোটের ফলাফল স্বীকার না করার ঘোষণা দিয়েছে। ফলাফল বাতিল করতে দেশটির নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিরোধী দলীয় প্রার্থীরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার (৫ অক্টোবর) রাজধানী বিশকেকে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে। এছাড়া সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশটির আরও কয়েকটি বড় শহরেও বিক্ষোভ হয়েছে।
আরও পড়ুন : রিজার্ভ সৈন্য শেষ হওয়ায় যুদ্ধে নারীদের পাঠাচ্ছে আর্মেনিয়া
বেশ কিছু স্থানে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার গ্যাস ও জল কামান ব্যবহার করেছে পুলিশ। পুলিশ-বিক্ষোভকারীসহ উভয় পক্ষ থেকেই আহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন অন্যতম বিরোধী দলীয় নেতা জানার আকায়েভ।
এ দিকে মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) প্রায় ২ হাজারের মতো আন্দোলনকারী কিরগিজস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির ভবনের সামনে জড়ো হয় এবং কারাবন্দি সাবেক প্রেসিডেন্ট আলমাজবেক আতামবায়েভ ছাড়িয়ে আনেন। একজন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে মুক্তি দেওয়া অভিযোগে আতামবায়েভ ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন : আর্মেনিয়ার হাত থেকে ২২ অঞ্চল মুক্ত করল আজারবাইজান
রাশিয়াপন্থি আতামবায়েভ এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট সুরনবই জিনবেকভের সম্পর্ক এক সময় ঘনিষ্ঠ ছিল। তবে ২০১৭ সালের নির্বাচনে জিনবেকভের জয়ের পর আতামবায়েভের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। এই বিরোধ মেটাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত বছর শান্তি আলোচনা আয়োজনের চেষ্টা চালালেও আতামবায়েভের গ্রেপ্তার থামানো যায়নি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড