আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভুয়ো খবর ছড়িয়ে নিজেই এখন করোনায় ধরাশায়ী হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। প্রেসিডেন্টের সাথে সাথে করোনার হাত থেকে রেহাই পাননি তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পও। সারা বিশ্ব যখন করোনায় নাস্তানাবুদ, সে সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাত ধরেই গোটা বিশ্বে সর্বাধিক ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে বলে দাবি করেছে আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা।
৩.৮ কোটি আর্টিকেলের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ট্রাম্পের ৫ লক্ষ ২২ হাজার ৪৭২টি প্রতিবেদনে সরাসরি ভিত্তিহীন। এদিকে করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই এই মারণ ভাইরাসকে বিশেষ পাত্তা দিতে দেখা যায়নি ট্রাম্পকে। এমনকী আমেরিকায় সঠিকভাবে করোনা বিধি আরোপ করার ক্ষেত্রেও ট্রাম্পের প্রশাসনিক ব্যর্থতাই কাঠগড়ায় তোলেন অনেকে।
শুরু থেকেই অবজ্ঞা, এমনকী মাস্ক পরতেও অস্বীকার করেন ট্রাম্প। এদিকে এর আগে করোনা ঠেকাতে অদ্ভূত সব নিয়ম দিতে দেখা যায় ট্রাম্পকে। হোয়াইট হাউসে দাঁড়িয়েই তিনি দাবি করেন করোনা অক্রান্তের শরীরে জীবানুনাশক ইঞ্জেকশনের প্রয়োগ করলেই সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব। তার এই মন্তব্যের পরে তুমুল শোরগোল পড়ে যায় চিকিৎসা মহল থেকে শুরু করে নাগরিক মহলেও।
করোনা ঠেকাতে মাস্কের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা পরতে অস্বীকার করেন তিনি। সেই সময় বিরোধীরা ট্রাম্পকে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন' বলেও আখ্যা দেন। করোনা ঠেকাতে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির প্রয়োগের চিকিৎসা নিয়েও একাধিক ভিত্তিহীন দাবি করে বসেন তিনি।
আরও পড়ুন : হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত ট্রাম্প
রিপোর্টে দাবি করা হয়, ট্রাম্পের এই মিথ্যার ফাঁদে পা দিয়েছে ভারতের মতো একাধিক দেশ। যার জেরে করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইনের ব্যবহার নিয়েও ছড়ায় বিভ্রান্তি। রোগীর শরীরের মধ্যে দিয়ে জোরালো আলোর প্রবেশ করিয়েও করোনার ঠেকানোর কথা বলতে দেখা যায় তাকে।
এদিকে করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুতে মারণ ভাইরাস ঠেকাতে প্রশাসনের একাধিক কর্মসূচীকে সাধুবাদ জানাতে দেখা যায় ট্রাম্পকে। গত ২৪ জানুয়ারি এই বিষয়ে একটি টুইটে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ধন্যবাদও জ্ঞাপন করেন তিনি। এমতাবস্থায় কিছুদিন যেতেই চীনের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ ছড়াই ক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা যায় তাকে। এমনকী কোনও ভিত্তি ছাড়াই করোনাকে চীনের ‘জৈবিক অস্ত্র' বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প।