• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

রণক্ষেত্রে যেভাবে তুরস্ক, পাকিস্তান ও আফগানদের পাশে পেল আজারবাইজান

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০১ অক্টোবর ২০২০, ১২:৪৭
রণক্ষেত্রে যেভাবে তুরস্ক, পাকিস্তান ও আফগানদের পাশে পেল আজারবাইজান
সীমান্তে যুদ্ধরত সেনা সদস্যরা (ছবি: প্রতীকী)

খ্রিস্টান রাষ্ট্র আর্মেনিয়াকে ধ্বংসে এরই মধ্যে আজারবাইজানের পাশে দাঁড়িয়েছে মুসলিম রাষ্ট্র তুরস্ক, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। তিন দেশই মনে করে আজারবাইজানের ভূখণ্ডে আর্মেনীয় দখলদারিত্ব বন্ধ করতে হবে। এমন অবস্থানের জন্য বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দেশগুলোর প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ।

বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোরালো সমর্থন দেওয়ায় তিনি তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে খবরটি জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

বুধবার দেওয়া ভাষণে ইব্রাহিম আলিয়েভে বলেন, তুরস্ক, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান আমাদের সমর্থন দিয়েছে। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ। তবে আমাদের সামরিক বাহিনীর বাইরের দেশের কোনো সাহায্যের প্রয়োজন নেই।

এর আগে আজারবাইজানের ভূখণ্ডে আর্মেনীয় দখলদারিত্ব বন্ধের আহ্বান জানান এরদোগান। একই সঙ্গে সর্বশক্তি নিয়ে আজারবাইজানের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি। অন্যদিকে বিদ্যমান সংঘাত থেকে তুরস্ককে দূরে রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আর্মেনিয়া। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। আঙ্কারার পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আজারবাইজানের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি তুরস্কের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।

আরও পড়ুন : আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সীমান্তে থামছেই না রক্তের হোলি

এরদোগান বলেন, আর্মেনিয়া কর্তৃক কারাবাখ দখলের মাধ্যমে এ অঞ্চলে যে সংকট শুরু হয়েছিল অবশ্যই তার অবসান ঘটাতে হবে।

তুর্কি প্রেসিডেন্টের মতে, আর্মেনিয়াকে অবশ্যই অবিলম্বে আজারবাইজানের ভূখণ্ড ছাড়তে হবে। এর মাধ্যমেই এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

টুইট বার্তায় এরদোগান লিখেছেন, দখল ও নির্মমতার বিরুদ্ধে বিশ্বকে আজারবাইজানের পাশে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়। কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভূখণ্ড হলেও ইয়েরেভান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। মূলত এ নিয়েই সংঘাতের সূত্রপাত।

আরও পড়ুন : হার মানল রাশিয়া, আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সীমান্তে যুদ্ধ চলছেই

নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘ বিবাদের জেরে ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কার্যত যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ। এতে এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ উভয় পক্ষের শতাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের বেশিরভাগই আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে জানা গেছে। নতুন করে সংঘাতের জন্য পরস্পরকে দায়ী করেছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া।

সূত্র : আল-জাজিরা

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড