• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আর্মেনিয়ার যুদ্ধবিমানকে বোমা মেরে গুড়িয়ে দিল তুর্কি সেনারা

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:৫৬
আর্মেনিয়ার যুদ্ধবিমানকে বোমা মেরে গুড়িয়ে দিল তুর্কি সেনারা
সীমান্তে গোলাবর্ষণ করছে তুরস্কের সেনা সদস্যরা (ছবি : প্রতীকী)

নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে শুরু হওয়া সংঘাতে বড় ধরনের উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আর্মেনিয়ার একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

তাদের দাবি, সোভিয়েত আমলে তৈরি এসইউ-২৫ বিমানটিকে ভূপাতিত করেছে আজারবাইজানকে সমর্থন দেওয়া তুরস্কের এফ-১৬ বিমান। যদিও সেই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে আঙ্কারা।

এ দিকে বিরোধপূর্ণ ওই পার্বত্য অঞ্চলে গত তিন দিনের সংঘাতে প্রায় একশ’ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের পুরনো সংঘাত গত রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন করে আবার শুরু হয়েছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দুই দেশের এই সংঘাত ওই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন : শতাধিক মৃত্যুর পরও থামছে না আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের রক্তের খেলা

বিশেষ করে এই সংঘাতে রাশিয়া ও তুরস্কের জড়িয়ে পড়ার জোরালো আশঙ্কা করছেন অনেকেই। কেননা আর্মেনিয়ায় রয়েছে রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি আর বর্তমান সংঘাতে আজারবাইজানকে সমর্থন দিচ্ছে তুরস্ক।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতির মাধ্যমে জানায়, নিজেদের আকাশসীমায় অবস্থানকারী এসইউ-২৫ যুদ্ধবিমানটিকে গুলি করে ভূপাতিত করে তুরস্কের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। এতে বিমানটির পাইলট নিহত হয়।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি সামরিক কাজে নিয়োজিত ছিল।

আরও পড়ুন : আর্মেনিয়াকে ধ্বংসে আজারবাইজানের হয়ে সেনা পাঠাল তুরস্ক

যদিও বিমান ভূপাতিতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তুরস্কের যোগাযোগ পরিচালক ফাহরেত্তিন আলতুন। তিনি বলেন, প্রচারণার সস্তা কৌশল প্রয়োগের বদলে দখলকৃত এলাকা থেতে আর্মেনিয়ার সরে যাওয়া উচিত। আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও তুরস্কের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এর আগে রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের সংঘাত নিয়ে আর্মেনিয়া, আজারবাইজান ও তুরস্কের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখছে তারা। বিবৃতির মাধ্যমে ক্রেমলিন জানায়, সামরিক সহায়তা দেওয়া নিয়ে কোনো আলোচনা হলে তাতে কেবল বিরোধী পক্ষের ক্ষোভকে উসকে দেবে।

আরও পড়ুন : ধর্মই কি মূল কারণ আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধের নেপথ্যে?

উল্লেখ্য, নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভেতরে অবস্থিত হলেও ইয়েরেভান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। ১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়।

১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এই সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়। পরে ২০১৬ এবং এই বছরের শুরুতেও সংঘাতে জড়ায় দুই পক্ষ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড