ট্রাম্পের বাড়ি গেলেই ময়লা কাপড় সঙ্গে নেন নেতানিয়াহু!

মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যখনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান, তখনই তিনি স্যুটকেস ভর্তি ময়লা কাপড় সঙ্গে নেন। আর সেই কাপড় ধুতে হয় মার্কিন সরকারি কর্মীদেরই। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এমনটি করে আসছেন। নেতানিয়াহুর এমন কর্মকাণ্ডে রীতিমতো হতবাক মার্কিন কর্মকর্তারা।

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সাংবাদিকেরা গত কয়েক বছর যাবত বিষয়টি নিয়ে কথা বললেও এবারই প্রথম মার্কিন কর্মকর্তারা নেতানিয়াহুর এই কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন।

নেতানিয়াহু সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্রে আসলে প্রতিবারই মার্কিন প্রেসিডেন্টের গেস্ট হাউস ব্লেয়ার হাউসে উঠেন, যেটি হোয়াইট হাউসের উল্টোদিকে অবস্থিত। প্রতিবারই ইসরায়েল থেকে তিনি অনেকগুলো ব্যাগ ও সুটকেস সঙ্গে করে নিয়ে আসেন, যাতে ময়লা কাপড় ভর্তি থাকে।

খবরে বলা হয়, সেসব ময়লা কাপড় বিনা পয়সায় মার্কিন কর্মকর্তাদের কর্মী দিয়ে ধুয়ে নেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন : রাফালে যুদ্ধবিমান প্রসঙ্গে এবার মোদীকে নিয়ে তামাশা কংগ্রেসের

ব্লেয়ার হাউসে উঠা সব অতিথিদের জন্য কাপড় ধোয়া ও পরিষ্কারের জন্য লন্ড্রি ব্যবস্থা আছে। যদিও রাষ্ট্রীয় অতিথি এবং তাদের পরিবার সফরকালীন পোশাক ধুতে সেই সেবা গ্রহণ করেন।

এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, একমাত্র নেতানিয়াহুই সুটকেস ভর্তি ময়লা কাপড় নিয়ে এসে আমাদের দিয়ে ধুইয়ে নেন। শুধু একবার নয়, বারবার একই কাণ্ড করেছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন : সৌদিকে মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসবাদের মূল কারিগর বলছে ইরান

ওই কর্মকর্তার ভাষ্য, একাধিক সফরে একই ধরনের কাজ করার পর পরিষ্কার হয় যে, তিনি ইচ্ছা করেই এমনটি করেন।

সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, নিজ দেশেও এমন অদ্ভুত আচরণের জন্য সমালোচিত নেতানিয়াহু।

আরও পড়ুন : ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা বন্ধে নতুন পথে আরব-ইউরোপ

২০১১ সালে ইসরায়েলি সাংবাদিক রাভিভ ড্রকারের একটি প্রতিবেদন থেকে প্রথম জানা যায় ময়লা কাপড় ধোয়া নিয়ে নেতানিয়াহু পরিবারের এই অভ্যাসের বিষয়টি।

চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য মার্কিন সফরে যান নেতানিয়াহু।

আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রের প্ররোচনায় ইসরায়েলের ফাঁদে পা দিচ্ছে আরেক মুসলিম রাষ্ট্র

সপ্তাহজুড়ে সেই সফরে নেতানিয়াহু পরিবারসহ ইসরায়েলি কর্মকর্তার বাসভবনে থাকলেও রাষ্ট্রীয় খরচে লন্ড্রি সেবা নেন। বিষয়টি প্রকাশ পায় প্রভাবশালী ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজেও।