• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

এবার ‘টুইনডেমিকের’ থাবায় আতঙ্কিত যুক্তরাষ্ট্র

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:৩৮
এবার ‘টুইনডেমিকের’ থাবায় আতঙ্কিত যুক্তরাষ্ট্র
করোনায় আক্রান্তের মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে (ছবি : প্রতীকী)

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণঘাতী করেনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা এরই মধ্যে ২ লাখ অতিক্রম করেছে। এ দিকে গ্রীষ্ম বিদায় নিয়ে আসছে শীত; যুক্তরাষ্ট্রে যা ‘ফ্লু সিজন’ নামে পরিচিত। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির সঙ্গে আসন্ন এই ফ্লু সিজনকে মিলিয়ে বিশেষজ্ঞরা একে ‘টুইনডেমিক সিচুয়েশন’ আখ্যা দিয়েছেন।

মঙ্গলবারের (২২ সেপ্টেম্বর) এক কনফারেন্সকে সামনে রেখে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ বাদবাকি বিশ্বের প্রায় ৩ কোটি মানুষ যখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, ইতোমধ্যেই যখন প্রায় ১০ লাখ মানুষকে আমরা হারিয়েছে, ঠিক তখনই আমরা আরেকটি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি: তা হলো সিজনাল ফ্লু। টিকা নেওয়ার মধ্য দিয়ে এই সংকট মোকাবিলার পরামর্শ দিয়েছে তারা।

যদিও কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ঠেকাতে ফ্লুয়ের ভ্যাকসিন কোনো কাজ দেবে না। শুধু ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ ঠেকাবে। চিকিৎসকরা বলছেন, সব চেয়ে আতঙ্কের হল, কোভিড-১৯ এবং ফ্লু-এর উপসর্গ প্রায় একই রকম। রোগীর শরীরে উপসর্গ দেখে কী হয়েছে তা বলা বেশ কঠিন।

সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষ বলতে পারছেন না, কিসের অসুস্থতা। দুই রোগেরই সাধারণ উপসর্গ হলো জ্বর, সর্দিকাশি, প্রবল ঠান্ডা লাগা এবং শ্বাস নিতে কষ্ট। তবে পার্থক্য— কোভিডে গন্ধ, স্বাদের মতো অনুভূতি চলে যায়। যদিও করোনা-আক্রান্ত সকলেরই যে আবার স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দিচ্ছে, তেমনটা নয়।

আরও পড়ুন : চীনে আক্রমণের হুঁশিয়ারি দিয়ে সীমান্তে উড়ছে ভারতের রাফালে যুদ্ধবিমান

আবার ফ্লু-তেও অনেক সময় ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়ে যায়, জিভের স্বাদ চলে যায়! অতএব করোনা-পরীক্ষার রিপোর্ট না-পাওয়া পর্যন্ত রোগ নির্ণয় করা বেশ মুশকিল। আবার ফ্লু এবং কোভিড-১৯, দুই রোগ এক সঙ্গে হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞেরা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই জানিয়ে রেখেছেন, ওষুধ প্রশাসন আপত্তি করলেও ৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই তিনি ভ্যাকসিন বাজারে আনবেন। তবে আটলান্টিক ম্যাগাজিনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, কঠিন বাস্তবতা হলো, শীতকাল সামনে রেখে আমাদের এমন পরিকল্পনা নেওয়া দরকার, যেন ভ্যাকসিন আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে না দাঁড়ায়।

আরও পড়ুন : মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে বন্দি বিনিময়ে প্রস্তুত ইরান

অবশ্য করোনার থেকে ইনফ্লুয়েঞ্জা মোকাবিলা তুলনামূলক সহজ। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে কোভিডের তুলনায় সংক্রমিত হলে দ্রুত উপসর্গ দেখা দেয় এক থেকে চার দিনের মধ্যেই। রোগ দ্রুত ধরা পড়লে, দ্রুত-চিকিৎসা সম্ভব। তাছাড়া উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগে পর্যন্ত কোনও ফ্লু-রোগীর থেকে অন্য কেউ আক্রান্ত হতে পারেন।

তার পরে আর সংক্রমণ ঘটে না। করোনা হলে দু'সপ্তাহ বাদেও উপসর্গ দেখা দিতে পারে। আবার উপসর্গ দেখা দেওয়ার ১০ দিন বাদেও রোগীর থেকে অন্য কেউ সংক্রমিত হতে পারে। অর্থাৎ কোভিড-১৯ আরও বেশি সংক্রামক ব্যাধি।

আরও পড়ুন : মার্কিন মুলুকেই টিকটকের রাজকীয় চুক্তি! সুর পালটালেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউচি ইমেইলে আটলান্টিক ম্যাগাজিনকে বলেছেন, শীতে দৈনিক সংক্রমণের পরিমাণ ১০ হাজারের নিচে রাখতে না পারলে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে আমাদের।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড