• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাকে বিভ্রান্তের পাঁয়তারা পাকিস্তানের

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:৩৫
লস্কর-ই-তৈয়বা জঙ্গি
লস্কর-ই-তৈয়বা জঙ্গি (ছবি : সংগৃহীত)

আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল একশন টাস্কফোর্স (এফএটিএফ) সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধের জন্য পাকিস্তানকে অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা দাবি করছেন, সময় যতই এগিয়ে আসছে পাকিস্তান ততোই সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বন্ধের নামে আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল একশন টাস্কফোর্সকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে পাকিস্তান।

সম্প্রতি লস্কর-ই-তৈয়বা জঙ্গি সংগঠনের প্রধান হাফিজ সাঈদকে সুরক্ষা দিয়ে পাকিস্তান আবারো প্রমাণ করেছে যে তাদের দেশ সন্ত্রাসের জন্য নিরাপদ।

সম্প্রতি সময়ে পাকিস্তানের একটি আদালত লস্কর-ই-তৈয়বা, জামাত-উদ-দাওয়া এবং এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আল হামাদ ট্রাস্টকে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের অভিযোগ অভিযুক্ত করে। গত ২৮ আগস্ট লাহোরের একটি আদালত আল হামাদ ট্রাস্টের প্রেসিডেন্ট মালিক জাফর ইকবাল, প্রতিষ্ঠানটির সেক্রেটারি হাফিজ আব্দুল সেলিম এবং আল হামাদ ট্রাস্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট হাফিজ আব্দুল রহমান মক্কীকে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেন।

তখন পাকিস্তানের আদালত মালিক জাফর ইকবাল এবং হাফিজ আব্দুল সেলিমকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেন এবং উভয়কে এক লাখ পাকিস্তানি রুপি জরিমানা করা হয়। এছাড়া মক্কীকে দেড় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং ২০ হাজার পাকিস্তানে রুপি জরিমানা করা হয়।

জানা গেছে, মক্কী লস্কর-ই-তৈয়বার প্রধান হাফিজ সাইদের শ্যালক। তিনি জামাত-উদ-দাওয়ার রাজনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,আদালত তাদের রায়ে বলেছেন যে মক্কী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তাই তাকে কম শাস্তি দেওয়া হয়েছে ।

একজন কর্মকর্তা জানান, যেহেতু মক্কী সাইদের আত্মীয় এবং সে জামাত উদ দাওয়া গুরুত্বপূর্ণ অংশের দায়িত্বে রয়েছে করে তাই তাকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। এই জামাত উদ দাওয়া লস্করে তৈয়বার মূল সংস্থা।

মক্কী ছাড়াও ভারতের মুম্বাই হামলার সন্ত্রাসী হামলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক সাজিদ মিরও পাকিস্তানে কোনো রকম বাধা ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে এবং ভারত উভয় দেশই সাজিদ মিরের প্রত্যর্পণের জন্য পাকিস্তানের কাছে দাবি জানিয়েছে । এছাড়া মুম্বাই হামলার আরেক মাস্টার মাইন্ড জাকি উর রেহমান লাখবিকেও পাঁচ বছর আগে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই'র গেস্টহাউজে থাকছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া মুম্বাই হামলার ঘটনায় আরেক অভিযুক্ত লাখবির নাতি ইউসুফ মুজাম্মিলও পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই'র আশ্রয়ে আছেন।

২০১৮ সালের জুন মাস থেকে পাকিস্তান এফএটিএফের ধূসর তালিকায় রয়েছে। এরপর গত কয়েকমাস ধরেই তাদের বারবার সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক সংগঠনটি। জঙ্গিদের মদত ও তাদের আর্থিক সাহায্য পাকিস্তানকে দিতে বারণ করা হয়েছে। কিন্তু, তাতে বদলায়নি পাকিস্তানের প্রশাসন।

ওডি

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড