• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

অক্সফোর্ডের টিকা নিয়ে অসুস্থ হওয়া সেই নারীর ব্যাপারে যা বললো অ্যাস্ট্রাজেনেকা 

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:৫০
করোনা
ছবি : সংগৃহীত

অক্সফোর্ডের ফর্মুলায় ডিএনএ ভেক্টর ভ্যাকসিন তৈরি করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকাও। আর এই টিকার ডোজে জটিল স্নায়বিক সমস্যা দেখা গিয়েছিল এক নারী স্বেচ্ছাসেবকের। তার শিরদাঁড়ায় মারাত্মক ব্যথা ছিল। নিউরোলজিক্যাল রোগের উপসর্গও দেখা দিয়েছিল। এই নিয়ে প্রথমবার মুখ খুলেছে ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্ম অ্যাস্ট্রজেনেকা।

সংস্থার সিইও পাস্কাল সরিয়ট বলেছেন, টিকার ইঞ্জেকশন দেওয়ার কিছুদিন পরেই স্পাইনাল ইনফ্ল্যামেশন হতে শুরু করে ওই নারীর। তীব্র প্রদাহ তৈরি হয় স্নায়ুর কোষে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি ট্রান্সভার্স মায়েলিটিস রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

ট্রান্সভার্স মায়েলিটিস রোগে শিরদাঁড়ার দু’পাশে যন্ত্রণা হয় রোগীর। স্পাইনাল কর্ডের স্নায়ুতে তীব্র প্রদাহ শুরু হয়। অনেক সময় এই রোগে স্নায়ু আর বার্তা আদানপ্রদান করতে পারে না। মস্তিষ্কে সঙ্কেত পাঠাতেও পারে না। ফলে স্পর্শের অনুভূতি চলে যাওয়া, প্যারালাইসিস, পেশীর ব্যথা, পেশীর খিঁচুনি, ব্লাডার এবং বাওয়েল সিনড্রোমও দেখা দেয় রোগীর। সেই সঙ্গে মাথা ব্যথা বা মাইগ্রেনের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

অ্যাস্ট্রজেনেকার মুখপাত্র ম্যাথিউ কেন্ট বলেছেন, যে নারীর রোগ ধরা পড়েছিল তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ। কি কারণে ওই নারীর শরীরে এমন রোগ দেখা দিয়েছিল তার পরীক্ষা চলছে। তৃতীয় পর্যায়ে প্রায় ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে একজনেরই কেন এমন রোগ দেখা দিল সে বিষয়ে এখনও কিছু জানাতে পারেনি অ্যাস্ট্রজেনেকা।

অক্সফোর্ডের টিকার ট্রায়াল শুরু হয়েছিল এপ্রিল থেকেই। প্রথম দু’জনের শরীরে ইনজেক্ট করা হয়েছিল ভ্যাকসিন। তাদের মধ্যে একজন নারী বিজ্ঞানী। নাম এলিসা গ্রানাটো। তারপর প্রথম পর্যায়ে কম সংখ্যক মানুষের শরীরে টিকার পরীক্ষা করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে হাজারের বেশি জনকে টিকা দেওয়া হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছিল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ হাজার জনকে টিকা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু ট্রায়ালের মাঝে এক স্বেচ্ছাসেবকের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর সামনে আসায় ট্রায়াল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় অ্যাস্ট্রাজেনেকা। বিবৃতিতে জানানো হয়, সুরক্ষার জন্যই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বন্ধ রাখা হয়েছে। সমস্যা খতিয়ে দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তবে অক্সফোর্ডের টিকা নিয়ে অযথা উত্তেজনা ছড়াতে না করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষ বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন। তিনি বলেছেন, বলেছেন, টিকার গবেষণা ও প্রয়োগে নানা উত্থান পতন থাকে। খুব সহজেই কোনও দুরারোগ্য রোগের টিকা চলে এসেছে এমন নজির নেই।

অক্সফোর্ডের টিকার প্রথম দুই পর্বের ট্রায়ালের রেজাল্ট সামনে এনেছিল বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেট। তাদের গবেষণাপত্রে বলা হয়েছিল, ১০৭৭ জন স্বেচ্ছাসেবককে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। এই টিকা প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষের রক্তে ভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে। শরীরের টি-কোষও সক্রিয়। কোনও জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

ওডি/

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড