আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গত জুলাইয়ের শেষ দিকে ফ্রান্স থেকে ভারতে আসার পর আগামী ১০ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে শক্তিশালী রাফাল যুদ্ধবিমান। আম্বালা এয়ারবেসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন খোদ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এমন পরিস্থিতিতে একটি কারণই কিন্তু চিন্তার ভাঁজ ফেলছে ভারতীয় বিমান সেনাদের কপালে।
না, চীন কিংবা পাকিস্তান নয়, আম্বালা এয়ারবেসের কাছে আকাশে উড়ে বেড়ানো পাখিরাই মূলত তাদের চিন্তার কারণ। কোনোক্রমে রানওয়ে থেকে ওঠা–নামার সময় রাফালের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে বড়সড় ক্ষতি হতে পারে নয়া এই যুদ্ধবিমানের। যদিও ইতিমধ্যে এই সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপও করা হয়েছে।
আসলে আম্বালা এয়ারবেসের কাছেই গজিয়ে ওঠা আবর্জনা ফেলার জায়গা দীর্ঘদিন ধরে অপরিষ্কার পড়ে রয়েছে। ফলে সেখানে প্রচুর পরিমাণে আবর্জনা জমেছে। আর এই আবর্জনার স্তূপেই খাবারের খোঁজে আসে পাখিরা। তাদের সঙ্গেই যে কোনো মুহূর্তে ধাক্কা লাগতে পারে যুদ্ধবিমানের। আর সেক্ষেত্রে বড়সড় ক্ষতি হতে পারে নয়া এই যুদ্ধবিমানের। ঝুঁকি রয়েছে বিমানচালকের প্রাণেরও।
আরও পড়ুন : শত্রুর যে কোনো উড়ন্ত বস্তুকে ধ্বংস করতে সক্ষম ইরান
জানা গেছে, ইতোমধ্যে হরিয়ানার মুখ্য সচিবকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর পক্ষ থেক এই প্রসঙ্গে চিঠি লেখা হয়েছে। সেখানে সাফ বলা হয়, অবিলম্বে এই আবর্জনার স্তূপ সরাতে হবে। তা না হলে খাবারের সন্ধানে এয়ারবেসের নিকটবর্তী আকাশে পাখির সংখ্যা রোজ বাড়ছে। এর ফলে এয়ারবেসে থাকা যুদ্ধবিমানগুলো ওঠা–নামায় সমস্যা হচ্ছে। এতে যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ক্ষতি হতে পারে সদ্য কেনা দামী রাফাল বিমানেরও। এমনকি ঝুঁকি থাকছে পাইলটেরও।
আরও পড়ুন : লাদাখে মুখোমুখি চীন-ভারতের ট্যাংকবাহিনী, যে কোনো সময় আক্রমণ
তাই যত দ্রুত সম্ভব ওই এলাকা থেকে আবর্জনা সরাতে হবে। এছাড়া খেয়াল রাখতে হবে এয়ারবেসের দশ কিলোমিটার এলাকায় আকাশে যেন কোনোভাবেই পাখিদের বাড়বাড়ন্ত না দেখা যায়। সে দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে স্থানীয় মিউনিসিপাল কর্পোরেশনকে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড