• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

যে কারণে তিব্বতকে ‘দুর্ভেদ্য দুর্গ’ বানাচ্ছে চীন

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৩০ আগস্ট ২০২০, ১৪:০৬
যে কারণে তিব্বতকে ‘দুর্ভেদ্য দুর্গ’ বানাচ্ছে চীন
সীমান্তে মোতায়েন চীনের সেনা সদস্যরা (ছবি : সিনহুয়া)

‘শান্তিপূর্ণ মুক্তি’! সাত দশক আগে লাল ফৌজের তিব্বত দখল অভিযানকে এই ভাষাতেই চিহ্নিত করলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। একই সঙ্গে শনিবার (২৯ আগস্ট) তার ঘোষণা, সুস্থিতি বজায় রাখা, জাতীয় ঐক্য রক্ষা করা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের মোকাবিলার উদ্দেশ্যে তিব্বতকে একটি দুর্ভেদ্য দুর্গে পরিণত করা হবে।

একদলীয় শাসনাধীন চীনের শাসকদল কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে ১৯৫০ সালের অক্টোবরের শুরুতে তিব্বত দখলের সাফাইও দিয়েছেন শি। তার যুক্তি, সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থা থেকে তিব্বতের জনগণকে মুক্তি দিতেই অভিযান চালিয়েছিল চীনা ফৌজ।

যদিও ইতিহাস বলছে, দলাই লামাসহ বৌদ্ধ ধর্মগুরুদের নিয়ন্ত্রণে থাকতে কখনওই বিক্ষোভ-আন্দোলন হয়নি তিব্বতে। একদা স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রটিতে যাবতীয় অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল চীনা দখলদারির পরে।

‘সামন্ততন্ত্র’ থেকে তিব্বতকে মুক্ত করার দাবি করলেও, বেইজিং যে বৌদ্ধ আমজনতার মন জয় করতে পারেনি, শি জিনপিংয়ের বক্তৃতাতেই তার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে। কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের তিনি বলেছেন, তিব্বতের প্রতিটি যুবকের হৃদয়ের গভীরে চীনের প্রতি ভালবাসার বীজ রোপণ করতে হবে।

আরও পড়ুন : মার্কিন বোমারু বিমানকে ধাওয়া করল রুশ যুদ্ধবিমান, বাড়ছে উত্তেজনা

এবার সেই লক্ষ্য পূরণের পদ্ধতিও বলেছেন তিনি। জিনপিংয়ের মতে, তিব্বতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে রাজনৈতিক ও আদর্শগত শিক্ষাকে প্রাধান্য দিতে হবে।

চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা শিনহুয়া এই খবর প্রচার করার পর থেকেই ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। তাদের আশঙ্কা, অধিকৃত শিনজিয়াংয়ে চীনা কমিউনিস্ট নেতৃত্ব যেভাবে রাজনৈতিক শিক্ষার নামে উইঘুর মুসলিম যুবকদের বন্দি করে মগজ ধোলাই চালাচ্ছে, এবার তিব্বত স্বশাসিত অঞ্চলেও সেই নীতি বলবত হবে।

আরও পড়ুন : তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যে সামরিক যুদ্ধ কি আসন্ন?

কেননা তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক জিনপিং বলেছেন, বৌদ্ধধর্মকে এবার সমাজতন্ত্রের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে।

সাম্প্রতিক কালে একাধিক বার চীনা নিপীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন তিব্বতিরা। লাল ফৌজ নির্মমভাবে তিব্বতিদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমন করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তিব্বত দখলের ৭০তম বর্ষপূর্তিতে চীনা প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য বেইজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্কে নতুন টানাপড়েন সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন : চীনে আক্রমণ চালাতে ভিয়েতনামকে বিপজ্জনক ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে ভারত

গত মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও জানিয়েছিলেন, অধিকৃত তিব্বতে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দমনপীড়নে অভিযুক্ত চীনা সরকারি আধিকারিকদের ভিসা দেওয়া হবে না। তার ওই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল চীন।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড