ইসরায়েলের পক্ষ নেওয়ায় লিবিয়ায় আমিরাতের দূতাবাসে হামলা    

মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে মুসলিম রাষ্ট্র সংযুক্ত আরব আমিরাতের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ঘটনায় আরব ও মুসলিম বিশ্বে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। যার অংশ হিসেবে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে আমিরাতের দূতাবাসে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে জনতা। এবার বহুসংখ্যক মানুষ এ হামলায় অংশ নিয়ে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাতের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগকে ফিলিস্তিনি নেতারা পিঠে ছুরি মারার শামিল বলে মনে করছেন।

ত্রিপোলিতে বিক্ষোভকারীরা আমিরাতের দূতাবাসে হামলার সময় পেট্রোল বোমা ব্যবহার করেছেন। এ সময় তারা আবুধাবির চুক্তিকে ‘কলঙ্ক’ বলে উল্লেখ করেন।

গত বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সমঝোতায় পৌঁছেছে। এই লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

আরও পড়ুন : গাজায় ইসরায়েলি বিমান আগ্রাসনের রোমহর্ষক ভিডিও প্রকাশ

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের স্বাধীনতার ঘোষণার পর ইসরায়েল ও আরবের মধ্যে এটি তৃতীয় চুক্তি। এর আগে মিশর ১৯৭৯ সালে ও জর্ডান ১৯৯৪ সালে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।

আরও পড়ুন : ৮ মিনিটেই আমিরাতকে ধ্বংস করবে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র, হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের

এখন পর্যন্ত উপসাগরীয় কোনো আরব দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। যদিও ইরানের আঞ্চলিক প্রভাব মোকাবিলায় ইসরায়েলের সঙ্গে এসব দেশের অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন : আমিরাতের পর এবার সৌদির দিকে নজর ইসরায়েলের

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ জানিয়েছে, চুক্তির আওতায় আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইসরায়েল ও আমিরাতের প্রতিনিধিরা বিনিয়োগ, পর্যটন, সরাসরি বিমান চলাচল, নিরাপত্তা, টেলিযোগাযোগ, প্রযুক্তি, জ্বালানি, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি, পরিবেশ ও দূতাবাস স্থাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করবেন।

আরও পড়ুন : সামরিক শক্তিতে ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে পারবে তুরস্ক?

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, আবুধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি স্বাক্ষর ইস্যুতে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়, তাদের আশা এই বিরাট ঐতিহাসিক পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির অগ্রগতিকে এগিয়ে নেবে।