আন্তর্জাতিক ডেস্ক
এবার ভারতীয় সীমান্তের একটি বিতর্কিত অঞ্চলে হেলিপ্যাড নির্মাণের কাজ শুরু করেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল। বিহারের পশ্চিম চম্পারান জেলার সীমান্তের কাছে হেলিপ্যাডটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) ভারতীয় প্রশাসন ওই এলাকাটি যাচাইয়ের আগেই নির্মাণকাজ শুরু করে নেপাল। প্রস্তাবিত হেলিপ্যাডটি চম্পারান জেলার বেলটিয়া থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
বাল্মীকি টাইগার রিজার্ভের (ভিটিআর) কাছে নেপালের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সশস্ত্র সীমাবলের (এসএসবি) থারি সীমান্ত ফাঁড়ি থেকে কিছুটা দূরে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
সশস্ত্র সীমাবল ব্যাটেলিয়নের কমান্ড্যান্ট রাজেন্দ্র ভরদ্বাজ বলেন, আমরা যতদূর জানি, ইন্দো-নেপাল সীমান্তের কাছে ছোট হেলিকপ্টারের জন্য একটি হেলিপ্যাড তৈরির কাজ কিছুদিন আগে শুরু হয়েছে।
গত ৪ আগস্ট ভারত-নেপাল সীমান্তের একটি বিতর্কিত জমিতে কোনো অনুমতিপত্র ছাড়াই হেলিপ্যাডের নির্মাণকাজ শুরু হতে যাচ্ছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করে হিন্দুস্তান টাইমস।
নেপাল-ভারত সীমান্তে নরসাহী গ্রামকে ঘিরে বিতর্কের জন্য গন্ডাক নদীর পরিবর্তনশীল গতিকে দায়ী করেন নেপালি কর্মকর্তারা।
এসএসবি কর্মকর্তারা জানান, গন্ডাক নদীর মাঝ বরাবর নেপাল ও ভারতের আন্তর্জাতিক সীমানা। তবে ১৯৭০ সালের দশকে নদীটির গতিপথ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নরসাহি গ্রামটিও নদীর ওপারে স্থানান্তরিত হয়। পরে সেখানে বসবাসরত ভারতীয় নাগরিকরা ভারতীয় ভূখণ্ডে চলে যান।
আরও পড়ুন : বিস্ফোরণের ৩০ ঘণ্টা পর বন্দরকর্মীকে জীবিত উদ্ধার
হিন্দুস্তান টাইমসের হাতে আসা একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, একটি কৃষি জমির কাছাকাছি জায়গায় চারপাশে হলুদ সীমানা দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে হেলিপ্যাড। সেখানে ইট ও পানির ট্যাঙ্ক দেখা গেছে। লোহার রডের টুকরো ও ভেজা মাটি দেখে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : বৈরুত বিস্ফোরণের পেছনে রাসায়নিক বোঝাই রুশ জাহাজ!
সম্প্রতি নেপাল উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ, কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরাকে নিজেদের অঞ্চল হিসেবে দাবি করে নতুন মানচিত্র প্রকাশের পর ভারত ও নেপালের মধ্যকার সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হয়। এরপরই সীমান্ত এলাকায় এমন নির্মাণকাজ শুরু করল নেপাল।
আরও পড়ুন : চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস, কানাডাতেও ঘাতক বাহিনী পাঠিয়েছেন সালমান
ভারত-নেপাল সীমান্তে আরও দুটি হেলিপ্যাডের নির্মাণের পরিকল্পনা আছে নেপালের। এর মধ্যে একটি বাল্মীকিনগর (নেপালের পশ্চিম চম্পারান) ও অন্যটি উত্তরপ্রদেশের সীমান্ত এলাকা উজ্জয়িনীতে (নেপালের নাওয়ালপারাসি জেলায়)।
আরও পড়ুন : যে কারণে ইরানকে দেখা মাত্রই দুর্বল হয়ে পরে যুক্তরাষ্ট্র!
সীমান্ত অঞ্চলে কর্মরত বিহারের সীমা জাগরণ মঞ্চের সভাপতি মহেশ আগারওয়াল বলেন, প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির মুষ্টিমেয় কিছু সমর্থক আমাদেরকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নেপালিদের একটি বড় অংশ আমাদের সঙ্গে তাদের পুরনো সম্পর্ক রক্ষার পক্ষে। এখন নয়াদিল্লির উচিত নীরবতা ভেঙে প্রয়োজনীয় কাজ করা।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড