আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থসচিব অজয়ভূষণ পাণ্ডে মঙ্গলবার সংসদের অর্থ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটিকে জানিয়েছেন, করোনার জেরে অদূর ভবিষ্যতে রাজ্যগুলির ভাগের জিএসটির টাকা মেটাতে পারবে না কেন্দ্র। নিয়ম অনুযায়ী, জিএসটি বাবদ কেন্দ্র যা আয় করে তার একটা নির্দিষ্ট অংশ রাজ্য সরকারগুলির প্রাপ্য। কিন্তু মঙ্গলবার সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থসচিব জানিয়েছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের পক্ষে রাজ্যের প্রাপ্য পুরোপুরি মেটানো সম্ভব নয়। এমনটাই দাবি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।
করোনার আগে থেকেই দেশের অর্থনীতি ধুঁকছিল। এরপর মহামারীর জেরে একপ্রকার কোমর ভেঙে গিয়েছে দেশের অর্থব্যবস্থার। অধিকাংশ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকার ফলে রাজকোষেও টান পড়ছে। ২০১৯-২০ আর্থিক বছরের প্রথম তিন মাসে (এপ্রিল থেকে জুন) যেখানে ৩.১৪ লক্ষ কোটি টাকা জিএসটি আদায় হয়েছিল, সেখানে এবছর হয়েছে মাত্র ১.৮৫ লক্ষ কোটি টাকা। জিএসটি আদায়ের হার প্রায় অর্ধেক হয়ে যাওয়ায় বিপদে পড়েছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রাপ্য মিটিয়ে সরকারের দৈনন্দিন খরচ চালানো একপ্রকার অসম্ভব বলেই ধরে নিচ্ছিলেন অর্থনীতিবিদরা। অগত্যা রাজ্যের জিএসটিতেই হাত পড়ল।
আরও পড়ুন : পাক সেনাবাহিনী ও তালিবানের বিরুদ্ধে পশতুনদের বিক্ষোভ
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, মঙ্গলবার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থসচিব (Finance Secretary ) জানিয়ে দিলেন, করোনা পরিস্থিতিতে যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়েছে তা থেকে রাজ্যগুলিকে আগের হারে ভাগ দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু কেন্দ্র কীভাবে জিএসটির বিধি ভেঙে রাজ্যগুলিকে প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত করতে পারে? এ প্রশ্নের উত্তরে অর্থসচিব বলেন,”জিএসটি কাউন্সিলের আইনেই আছে, কোনও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জিএসটি আদায়ের পরিমাণ যদি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের থেকে কমে যায়। তাহলে রাজস্ব ভাগাভাগির অঙ্কও বদলে যেতে পারে।” অর্থসচিবের যা ইঙ্গিত তাতে জিএসটি আইনের এই ফাঁক দিয়েই আগামী অর্থবর্ষে রাজ্যগুলিকে জিএসটির প্রাপ্য টাকা দেওয়া হবে না। যদিও, গত অর্থবছরের(২০১৯-২০) জিএসটির শেষ কিস্তির ১৩ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা সোমবারই রাজ্যগুলিকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ওডি/
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড