পতাকা নামিয়ে মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধ করল চীন

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চেংদুত শহরে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস ত্যাগ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীরা। এর আগে কনস্যুলেটটি বন্ধ করে দিতে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছিল বেইজিং।

নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই সোমবার (২৭ জুলাই) ওই দূতাবাস থেকে বেরিয়ে যান মার্কিন কূটনৈতিকসহ কর্মীরা। এ সময় সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পতাকা নামিয়ে কনস্যুলেট ভবনটি বন্ধ করে দেয় চীনা প্রশাসন। এমনকি দেয়াল থেকে সরিয়ে ফেলা হয় কনস্যুলেটের নাম ফলকও।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ জানায়, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গত সপ্তাহে টেক্সাসের সান ফ্রান্সিসকোতে অবস্থিত চীনের কনস্যুলেট বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। মূলত এর পাল্টা জবাব হিসেবে ওইদিনই বেইজিং ঘোষণার মাধ্যমে মার্কিন দূতাবাস বন্ধের জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়।

মার্কিন দূতাবাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বেরিয়ে যাওয়ার সময় ভবনটির বাইরে বিপুল সংখ্যক উৎসুক জনতা ভিড় জমিয়েছিলেন। তখন তাদেরকে এ দৃশ্য ভিডিও করতে এবং ছবি তুলতে দেখা যায়।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পর ওই ভবনে প্রবেশ করেছেন চীনা কর্মকর্তারা। এ সময় তারা ভবনটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।

চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার খবরে দেখানো হয়, মার্কিন দূতাবাস থেকে একটি লরি বেরিয়ে যাচ্ছে। মূলত কূটনীতিকদের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস সেই লরির মাধ্যমে সরিয়ে ফেলছেন কর্মীরা।

সোমবার সকালে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি অনলাইনে একটি ভিডিও পোস্ট করে। সেখানে দেখানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা নামিয়ে ফেলা হচ্ছে। এ সময় ভবনটির বাইরে মোতায়েন করা হয় কয়েক ডজন পুলিশ। তারা প্রত্যক্ষদর্শীদের সরে যেতে বলেন।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বর্তমানে এখন। একটি ইস্যু নয়, বরং একাধিক ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে রয়েছে দুই দেশ।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ কূটনৈতিক তৎপরতার আড়ালে চীন যুক্তরাষ্ট্রে গুপ্তচরবৃত্তি করছে। এ জন্য গত সপ্তাহে সান ফ্রান্সিসকো কনস্যুলেট বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। যদিও অভিযোগটির পিছনে তারা প্রমাণ উপস্থাপন করেছে। এরপরই চেংদু কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দেয় চীন।

আরও পড়ুন : শিগগিরই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পাচ্ছে রাশিয়া, উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র

চীনের সঙ্গে বাণিজ্য, করোনা মহামারি, হংকংয়ে বিতর্কিত নিরাপত্তা আইন চাপিয়ে দেওয়া নিয়ে সংঘাতময় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।

সূত্র : বিবিসি নিউজ