আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সম্প্রতি ভারত সীমান্তের বেশ কয়েকটি অংশ নিজেদের বলে দাবি করেছে প্রতিবেশী নেপাল। যার ধারাবাহিকতায় এবার উত্তরাখণ্ডের তনকপুরের ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ হিসেবে পরিচিত অঞ্চলটিকে নিজেদের দাবি জানিয়ে রীতিমতো অবকাঠামো নির্মাণ কাজও শুরু করে দিয়েছে নেপালি জনগণ। যদিও খবর পেয়ে ভারতীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে স্থানীয়দের তুমুল বাধার মুখে পিছু হটতে বাধ্য হন তারা।
তনকপুরের এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, বিতর্কিত ওই অঞ্চলটি আসলে কাদের এবং এর সঠিক সীমানা নির্ধারণের জন্য ভারত ও নেপালি প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি যৌথ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু তারা কাজ শুরুর আগেই করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে সেই পরিকল্পনা স্থগিত হয়ে যায়।
এর মধ্যেই গত বুধবার (২২ জুলাই) তারের বেড়া দিতে ওই নো ম্যানস ল্যান্ডে প্রায় ২০টির মতো কাঠামো পুঁতে দিয়েছেন নেপালিরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ভারতীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। কিন্তু তাদের দেখে নেপালের বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং ভারতবিরোধী স্লোগান দিতে শুরু করেন। পরে উত্তেজনা প্রশমনে পরে উভয় দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেন।
ভারতের সশস্ত্র সীমা বলের (এসএসবি) কমান্ড্যান্ট আর কে ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, নেপালিদের বসানো কাঠামোগুলো কংক্রিট এবং কাঠের তৈরি। নেপালের সশস্ত্র বাহিনী আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সেগুলো তুলে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
যদিও বৈঠকে উপস্থিত এক এসএসবি কর্মকর্তার দাবি, নেপাল মুখে কাঠামো সরিয়ে নেওয়ার কথা বললেও বাস্তবে তারা কোনো কাজই করেনি। গত শুক্রবারও (২৪ জুলাই) নেপালের লোকজনদের পিলারে তার বসাতে দেখা গেছে।
স্থানীয় পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, নেপালি পুলিশ ও প্রশাসনের সমর্থনেই স্থানীয়রা কাঠামো তোলার সম্ভাবনা রয়েছে। নেপালের সশস্ত্র বাহিনী যখন আমাদের আশ্বাস দিচ্ছিল যে কয়েকদিনের কাঠামো তুলে ফেলা হবে, তবে ওরা (স্থানীয়রা) তখনও কাঠামো বসাতে ব্যস্ত ছিল।
আরও পড়ুন : পাকিস্তান নয়, ভারতের পরমাণু হামলার নতুন টার্গেট চীন!
চম্পাবতের পুলিশ সুপার লোকেশ্বর সিং জানিয়েছেন, বিষয়টি সমাধানে শুক্রবারের পর আর কোনো আলোচনা হয়নি। ভারতের পক্ষে বিষয়টি আপাতত এসএসবির হাতে রয়েছে। কিন্তু আশ্বাস মতো কাঠামো সরানো না হলে প্রতিবেশী দেশ দুটির উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কথা বলবেন।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড