• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পত্রিকার এ দাবি সত্যি হলে মহাবিপদে পড়বে ভারত

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৪ জুলাই ২০২০, ২০:২৭
জৈব অস্ত্র

ভারতকে শায়েস্তা করতে চীন পাকিস্তান জোট হয়ে নয়া কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে বলে দাবি করেছে প্রতিরক্ষা বিষয়ক পত্রিকা দ্য ক্লাক্সন। পত্রিকাটির এ দাবি সত্যি হলে ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন ভারত। এ রিপোর্টে বলা হয়, ভারতের বিরুদ্ধে হাতে হাত মিলিয়ে জৈব অস্ত্রের ভাণ্ডার গড়ে তুলছে দুই পড়শি দেশ।

দ্য ক্লাক্সনের দাবি, ভারত ও ইউরোপের দেশগুলির বিরুদ্ধে জৈব অস্ত্র তৈরি করতে অ্যানথ্রাক্স-সহ বেশ কিছু মারাত্মক জীবাণু নিয়ে যৌথভাবে গবেষণা চালাচ্ছে পাকিস্তান ও চীন। ইতিমধ্যে পাক সেনার সামরিক গবেষণা শাখা ডিফেন্স সাইন্স এন্ড টেকনোলজি অরগানাইজেশন এর সঙ্গে একটি গোপন চুক্তি করেছে উহান ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজি।

নিজের প্রতিবেদনে অ্যান্টনি ক্লান দাবি করেছেন, মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ ও করোনার মতো সদ্য আবিষ্কৃত ভাইরাসগুলি নিয়ে গবেষণা করছে পাক সেনা ও চীনা ফৌজ। জীবাণুগুলোকে নিয়ন্ত্রণে এনে কীভাবে তা শত্রু দেশের উপর হামলা চালানোর কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে, সেই বিষয়ে মূলত গবেষণা চালানো হচ্ছে। তবে সবথেকে আশঙ্কার বিষয়টি হল, করোনা আবহে আন্তর্জাতিক মঞ্চের ভয়ে অন্য দেশে গোপনে জৈব হাতিয়ারগুলো প্রয়োগ করে দেখতে পারে চীন। ফলে সংক্রমণ ছড়ালেও সরাসরি বেইজিংকে কেউ দায়ী করতে পারবে না।

আরও পড়ুন- এবার হিমাচল সীমান্তেও রাস্তা বানাচ্ছে চীন

এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে পত্রিকাটি দাবি করেছে, ইতিমধ্যে পাকিস্তানকে জৈব অস্ত্র নির্মাণে বেশ কিছু মারাত্মক ভাইরাস দিয়েছে চীনের উহানের গবেষণাগার। সেগুলি মধ্যে সবথেকে ঘাতক হচ্ছে ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস (অ্যানথ্রাক্স) ও অ্যাসিলাস থারিনজিনেসিস (অ্যানথ্রাক্স-এর সঙ্গে মিল থাকা) নামের দুইটি জীবাণু। ওই জীবাণুগুলি কীভাবে সংরক্ষণ করতে হয় এবং প্রয়োজনে গবেষণাগারে আরও বেশি করে তৈরি করা যায় সেই প্রযুক্তিও ইসলামাবাদকে দিয়েছে বেইজিং। এই অস্ত্র ভাণ্ডারের মূল নিশানা হচ্ছে ভারত ও ইউরোপ চীনের বিরোধী দেশগুলি।

উল্লেখ্য, লাদাখে চীনা আগ্রাসন চলাকালীন জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে সেনা বৃদ্ধি করে পাকিস্তান। দুই দেশ যে মিলিতভাবে ভারতের বিরুদ্ধে লড়ার পরিকল্পনা করেছে তা স্পষ্ট।