আন্তর্জাতিক ডেস্ক
লিবিয়ায় তুরস্ক-মিশরের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে ভয়াবহ সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, লিবিয়ার বিদ্রোহী নেতা জেনারেল খলিফা হাফতারের অনুগত সংসদ দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপ করার জন্য মিসরকে অনুমোদন দিয়েছে।
অন্যদিকে যুদ্ধ বিরতির আগেই লিবিয়ার সিত্রে শহর এবং যুফরা বিমানঘাঁটি ত্রিপোলি ভিত্তিক সরকারের কাছে হস্তান্তর করার শর্ত দিয়েছে তুরস্ক।
সোমবার (১৩) এক বিবৃতিতে লিবিয়ার বিদ্রোহীদের সংসদ বলেছে, লিবিয়া এবং মিশরের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য লিবিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপ করার অধিকার মিশরের সামরিক বাহিনীর রয়েছে।
যদি দু’দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয় তাহলে মিশর সামরিক হস্তক্ষেপ করতে পারে।
২০১১ সালে আরব বসন্তের প্রভাবে বিক্ষোভ ও গৃহযুদ্ধে লিবিয়ার দীর্ঘকালীন শাসক মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফির পদচ্যুতি ও নিহত হওয়ার পর দেশটি দু’পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
জাতিসংঘ স্বীকৃত লিবিয়ার সরকার রাজধানী ত্রিপোলিসহ দেশটির পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে।
অন্যদিকে বেনগাজিকে কেন্দ্র করে মিসর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থিত বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলের দখল নেয়।
গত মাসে মিসরের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবদুল ফাত্তাহ আস-সিসি বলেছেন, লিবিয়ার সিত্রে শহর এবং যুফরা বিমানঘাঁটি হচ্ছে মিশরের জন্য রেড লাইন।
আরও পড়ুন : আফগানিস্তানের ৫ ঘাঁটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করল যুক্তরাষ্ট্র
সিত্রে শহর এবং যুফরা বিমানঘাঁটির পতনের আশঙ্কা দেখা দিলে তা ঠেকানোর জন্য মিশরের সামরিক বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন জেনারেল সিসি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড