• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

গোরু-মোষ পাচারে বিজিবিকে দোষ দিচ্ছে ভারত

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৫ জুলাই ২০২০, ১৩:৫৯
গোরু

ইদ আসতেই চোরাকারবারিদের রমরমা বেড়ে যায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। এর জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকেই দায়ী করেছে ভারতের বিএসএফ। গোরু ও মোষ পাচারে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর মদতের সমালোচনা করে কড়া বিবৃতিও দিয়েছে বিএসএফ।

ইদ-উল-আজহা উদযাপনের আর মাত্র দিন পনের বাকি। তার আগে প্রতি বছরের মতো এবারও গোরু ও মোষ পাচার বেড়েছে। এর বিপরীতে বিএসএফ বিজিবির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে বিবৃতি দিয়ে বলেছে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) অমানবিক, নির্দয় এবং ভারতবিরোধী কার্যকলাপকে সমর্থন করছে। গত ৬ জুলাই এর এ প্রেস বিবৃতিতে ধর্মীয় ও স্বাস্থ্য বিষয়ক যুক্তি তুলে ধরে বিএসএফ বলেছে, চোরাচালান হওয়া গবাদিপশুর মাংস ভক্ষণ নিরাপদ নয়।

ভারত থেকে বাংলাদেশে কীভাবে নদীপথে চোরাচালান হচ্ছে, তার বিস্তারিত বর্ণনা দিযে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গবাদি পশুগুলির চোখ বেঁধে কলার ভেলায় ভাসিয়ে নদী পারাপার করা হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন ঘাটে পৌঁছোনোর পর সেগুলির দখল নেয় বাংলাদেশি চোরাকারবারিরা। পাচার হওয়া প্রাণীগুলিকে ধরতে তারা স্পিডবোটের সাহায্য নেয়। বিএসএফের দাবি, এ কাজে চোরাকারবারিদের সাহায্য করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।

সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি এসএস গুলেরিয়া বলেন, বিজিবির মদত বন্ধ না হলে চোরাকারবার বন্ধ হওয়া কঠিন। বিজিবি যা করছে, তা সমর্থনযোগ্য নয়।

বিএসএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশে পাচারের জন্য উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাকে করে গবাদিপশু নিযে আসা হয়। সীমান্তের কাছাকাছি এসে পড়লেই সেগুলিকে উত্তেজক ওষুধ খাইয়ে এবং লেজ কেটে দিয়ে তড়িঘড়ি তাড়িয়ে উলটো পারে নিয়ে যায় চোরাকারবারিরা। ভারতে যে পশুর দাম ৫০ হাজার টাকা, ইদের সময় সেটাই বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি হয় দেড় লক্ষ টাকায়। চোরাকারবারিরা পশুপিছু ১০ হাজার টাকা করে লাভ করে। যে কোনও উৎসবের সময় সীমান্তে কোটি কোটি টাকার বেআইনি ব্যবসা হয় বলে জানিয়েছে বিএসএফ।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, বিএসএফের এ প্রেস বিজ্ঞপ্তি শুধুমাত্র নিজেদের গা বাঁচানোর জন্য। নিজেদের ব্যর্থতার ভার সম্পূর্ণ বিজিবির উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড