আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কোটি কোটি হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিশ্বাস করেন, তাদের ভগবান রামের জন্মভূমি হলো অযোধ্যা। যদিও নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি বলেছেন, অযোধ্যা নয় রামের প্রকৃত জন্মভূমি হলো নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর পাশের একটি গ্রাম। অবশ্য তার এমন দাবি তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছের রামভক্তরা।
ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার (১৩ জুলাই) নিজের বাসভবনে এক অনুষ্ঠানে নেপালের প্রধানমন্ত্রী আরও দাবি করেছেন, রাম প্রকৃতপক্ষে একজন নেপালি। তিনি ভারতের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ও অনধিকার প্রবেশের অভিযোগ তুলে বলেন, বিজ্ঞানে নেপালের অবদান তুচ্ছ বলে পরিগণিত হয়ে আসছে।
কে পি শর্মা ওলি বলেন, আমরা এখনো বিশ্বাস করি যে, সীতাকে আমরা রাজকুমার রামের কাছে দিয়েছিলাম অযোধ্য থেকেই। তবে সেটা ভারতের অযোধ্যা নয়, বীরগঞ্জ জেলা (যা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দূরে) থেকে কিছুটা পশ্চিমে অবস্থিত একটি গ্রাম।
নেপালের নিউজ ওয়েবসাইট সেটোপাতি ডটকমকে উদ্ধৃত করে প্রকাশিত এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি বলেন, সংস্কৃতিগতভাবে আমরা কিছুটা নিপীড়িত হয়েছিলাম। প্রকৃত ঘটনাগুলোকে বলপূর্বক ভাবে দখল করা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, তিনি সম্ভবত ভারতের দিকে ইঙ্গিত করে কথাগুলো বলেছেন।
নেপালের গণমাধ্যমের সূত্রকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই তাদের প্রতিবেদনে জানায়, প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা দাবি করেছেন, প্রকৃত অযোধ্যা ভারতে নয় নেপালে অবস্থিত। ভগবান রাম ভারতীয় নন তিনি একজন নেপালি। ভারত বলপূর্বক এই ইতিহাস নিজেদের অনুকূলে নিয়েছে বলে দাবি তার।
ভারতের উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লক্ষ্মৌ থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দূরের একটি শহর হলো অযোধ্যা। এখানে রামের জন্ম নিয়ে বিশ্বাস ভারতীয় হিন্দুদের। এছাড়া রামের জন্মভূমি দাবি করে অযোধ্যায় অবস্থিত বাবরি মসজিদে ভাঙচুর চালিয়েছিল উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। গত বছর এর দখল হিন্দুদের দেয় ভারতের আদালত।
আরও পড়ুন : ইয়েমেনে ভয়াবহ বিমান হামলায় নারী-শিশুসহ নিহত ৯ (ভিডিও)
সম্প্রতি ভারতের দখলে থাকা এলাকাকে নিজেদের দাবি করে কাঠমান্ডু সরকার মানচিত্র প্রকাশ করার পর থেকে প্রতিবেশী দেশ দুটির সম্পর্ক নতুন মোড় নিয়েছে। ভারত কে পি শর্মা ওলিকে পদচ্যুত করার ষড়যন্ত্র করছে বলেও শোনা যাচ্ছে। সম্পর্কের এ অস্থিরতার মধ্যেই নেপালের প্রধানমন্ত্রী এমন মন্তব্য করলেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড