আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে গত রবিবার (৫ জুলাই) চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতির অনেকটা পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে পরদিনই সেনা পিছু হটাতে শুরু করেছে চীন। ফলে ভারতীয় সেনাকেও সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা প্রত্যাহার প্রয়োজনীয় বলে ভারত-চীন দু’পক্ষই ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে। সেনা সরানোর পাশাপাশি গালওয়ান উপত্যকার পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪ থেকে চীন যাবতীয় অবৈধ পরিকাঠামো সরিয়ে নিয়েছে। পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৫ ও ১৭ খালি করতে শুরু করেছে চীনা সেনা। তবে প্যাংগংয়ের ফিঙ্গার ৪ থেকে ৮ পর্যন্ত এলাকায় এখনো সেনাদের দখলে। এই বিষয়টিই বর্তমানে ভাবাচ্ছে নয়াদিল্লিকে।
সোমবার (৬ জুলাই) চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছে, ভারত-চীন সেনা পর্যায় ও বিশেষ প্রতিনিধিদের বৈঠকের অগ্রগতিকে স্বাগত। দু’পক্ষই নিয়ন্ত্রণরেখার কাছ থেকে সেনা সরাতে সম্মত হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়িত করতে হবে। তবে গালওয়ান উপত্যকা নিয়ে পুরোপুরি সুর পাল্টানোর ইঙ্গিত মেলেনি চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে।
তিনি বলেছেন, গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সীমান্তের পশ্চিম দিকে কী হয়েছে সেটা স্পষ্ট। চীন নিজেদের ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্ব আগের মতই রক্ষা করবে ও সীমান্তে শান্তি-স্থিতাবস্থা বজায় রাখবে।
যদিও এমন মন্তব্যের কোনো পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখায়নি মোদী সরকার। চীনের সঙ্গে সমঝোতা যাতে নষ্ট না হয় তার ইঙ্গিত হিসাবেই ভারতের এই অবস্থান বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফে বলা হয়েছে, উভয় দেশের পারস্পরিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করেই সীমান্ত নিয়ে বিশেষ প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক চলতে পারে। সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা দুই দেশের স্বার্থেই খুব জরুরি।
অপর দিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলছে, ইন্দো-চীন সীমান্তের পশ্চিম অংশের অশান্তি নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা বয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে দুই পক্ষই সেনা সরাতে রাজি হয়েছে। ভবিষ্যতে শান্তি-স্থিতাবস্থা ব্যাহত হতে পারে এমন কার্যকলাপ থেকে দুই দেশই বিরত থাকবে।
আরও পড়ুন : ভারত ছেড়ে বাংলাদেশের সাথে যুক্ত হতে চায় মেঘালয়বাসীরা
যদিও গালওয়ান সংঘর্ষের পরই ৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উভয় পক্ষের উচিত কৌশলগত সিদ্ধান্ত মেনে চলা। তবে চীনা সেনার অপসারণকে কূটনৈতিক জয় বলেই দেখছে ভারত।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড