আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পেশা পরিবর্তন করছেন চীনের বন্যপ্রাণী খামারিরা। এখন তারা বিকল্প কিছু করছেন। পেশা পরিবর্তন করা খামারিরা সরকারি দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পের আওতায় সাহায্যও পাচ্ছেন। খামারিদের আশা কিছুদিনের মধ্যেই নতুন কৃষিতে লাভের মুখ দেখবেন তারা।
চীনে করোনা সংক্রমণ শুরুর কিছুদিন পরই বন্যপ্রাণী খাওয়া ও বিক্রি বন্ধ করে দেয় সরকার। এতে বিপদে পড়ে বন্যপ্রাণী খামারিরা। এখন বাধ্য হয়েই ব্যবসার ধরণ পাল্টাচ্ছেন তারা।
এরকমই একজন গুয়াংডং প্রদেশের হেউয়ান শহরের পাশের গ্রামের চাষি চেন লুজুন। আগে তার ইঁদুরের খামার ছিল। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন চাষ করছেন মাছ। চীনের দক্ষিণাঞ্চলে বন্য ইঁদুর একটি জনপ্রিয় খাবার। কাছের শহর থেকে মাছ চাষ শিখে আসা চেন এখন গ্রামের অন্যদেরও সহায়তা করছেন চাষবাসে।
খামারি চেন লুজুন বলেন, আমি আমার ইঁদুরের খামার বাড়াতে চাইছিলাম। কিন্তু এর মধ্যেই সরকার সব বন্ধ করে দিল। আবার নতুন করে শুরু করতে হচ্ছে সবকিছু। কিন্তু ব্যবসা খারাপ হচ্ছে তা বলব না।
চেনের মতই আরেকজন খামারি ঝু। আগে করতেন সাপ চাষ। সরকারি নিষেধাজ্ঞার পর কৃষি কর্মকর্তাদের সহায়তায় এখন করছেন সয়াবিন চাষ।
খামারি ঝু হুয়াফেং বলেন, একটু কষ্ট হচ্ছে স্বীকার করতেই হবে। তবে, আমি আশাবাদী। সামনে ব্যবসা ভালো হবেই।
এসব খামারিদের সহায়তায় গুয়াংডংয়ের স্থানীয় সরকার এরই মধ্যে ৩ লাখ ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগে যারা বন্যপ্রাণীর খামার করত, কিছুদিনের মধ্যেই তারা বিকল্প চাষে লাভবান হবে।
আরও পড়ুন : যেভাবে লাদাখ থেকে সেনা সরাল চীন-ভারত
২০০২ সালে সার্স মহামারির পরও একবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বন্যপ্রাণী ধরা ও বিক্রি। যদিও কিছুদিন পরই আবারও আগের মতো চলতে থাকে সবকিছু।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড