• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

হংকংয়ের লাইব্রেরিগুলো থেকে গণতন্ত্রপন্থি বই গায়েব

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৬ জুলাই ২০২০, ১৪:৫৮
হংকংয়ের লাইব্রেরিগুলো থেকে গণতন্ত্রপন্থি বই গায়েব
হংকংয়ে বিক্ষোভরতদের ওপর আগ্রাসন চালাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা (ছবি : রয়টার্স)

চীন কর্তৃক আরোপিত বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন কার্যকর হওয়ার পর হংকংয়ের লাইব্রেরিগুলো থেকে সেখানকার গণতন্ত্রপন্থিদের লেখা বইগুলো উধাও হয়ে গেছে। লাইব্রেরি পরিচালনা কর্তৃপক্ষ বলছে, বইয়ের লেখাগুলো পুনঃ পর্যালোচনা করে দেখা হবে যে তাতে নতুন নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘিত হয়েছে কিনা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, হংকংয়ের জন্য চীন প্রণীত নতুন এই জাতীয় নিরাপত্তা আইনে বিচ্ছিন্নতাবাদ, কেন্দ্রীয় সরকার পতন, সন্ত্রাসবাদ ও ‘জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করতে বিদেশি বাহিনীর সঙ্গে আঁতাতমূলক যেকোনো কাজ’ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ শাস্তিমূলক অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।

বিরোধীরা বলছে, চীন প্রণীত এই আইন দেশটির আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকংয়ের স্বাধীনতার অবক্ষয় ঘটানোর নিমিত্তে তৈরি। তবে বেইজিং বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে আসছে। কিন্তু ১৯৯৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে হংকংয়ের অধিকার পাওয়ার পর অন্তত ৫০ বছর স্বাধীনতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বেইজিং।

গত মঙ্গলবার (৩০ জুন) হংকংয়ে কথিত এই নিরাপত্তা আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকে গণতন্ত্রপন্থি বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী তাদের ভূমিকা থেকে সরে এসেছেন। তাদেরই একজন যিনি এককালের ছাত্রনেতা এবং স্থানীয় আইন প্রণেতা নাথান ল অঞ্চলটি ছেড়ে অন্য দেশে পালিয়ে গেছেন।

হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের বরাতে বিবিসি নিউজ জানায়, এখন পর্যন্ত অন্তত ৯টি বই উধাও হয়েছে কিংবা ‘পুনঃ পর্যালোচনাধীন’ নাম লেখা চিহ্ন দেওয়া হয়েছে। এসব বইয়ের মধ্যে রয়েছে বিশিষ্ট তরুণ গণতন্ত্রপন্থি কর্মী জোশুয়া ওং এবং গণতন্ত্রপন্থি রাজনীতিবিদ তানয়া চ্যানের লেখা বইও।

পাবলিক লাইব্রেরির ওয়েবসাইট অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ওং, চ্যান এবং স্থানীয় পণ্ডিত চিন ওয়ানের কমপক্ষে তিনটি বই আর পাওয়া যাচ্ছে না। শনিবার (৪ জুলাই) জোশুয়া ওং বলেন, নতুন আইনটিতে হংকংয়ে চীনা ধাঁচের একটি সেন্সরশিপের নিয়ম আরোপিত হয়েছে; যা আদতে বই নিষিদ্ধের পদক্ষেপ থেকে এক ধাপ দূরের পদক্ষেপ।

সমালোচনা উপেক্ষা করেই চীনের পার্লামেন্টে কোনো কাঁটা ছেঁড়া ছাড়াই সর্বসম্মতিক্রমে ৩০ জুন চূড়ান্তভাবে আইনটি পাস হয়। পাস হওয়ার পর চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ওইদিনই আইনটিতে স্বাক্ষর করেন। এরপর মঙ্গলবার মধ্যরাতেই হংকং সরকারে গেজেট প্রকাশ করলে আইনটি কার্যকর হয় হংকংয়ে।

আইনটি কার্যকর হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ এর আওতায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এই আইনের ফলে বেইজিংয়ের আইনসভা হংকংয়ের আদালতের যে কোনও রায় এবং দণ্ড বাতিল করতে সক্ষম হবে। এছাড়া চীনের নিরাপত্তা বাহিনী হংকংয়ে এখন প্রকাশ্যে একটি কার্যালয় খুলতে পারবে; যা তারা আগে পারত না।

আরও পড়ুন : চীনকে ঠাণ্ডা রাখতে এখন যাদের ওপর ভরসা মোদীর

অনেক পশ্চিমা দেশ আইনটি নিয়ে নিন্দা জানিয়েছে; যাদের অভিযোগ ১৯৯৭ সালের ‘এক দেশ, দুই নীতি’র চুক্তির আওতায় ৫০ বছরের রুপান্তরকালে হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার কথা বলা হলেও চীন কথিত জাতীয় নিরাপত্তার নামে এই আইন হংকংয়ের বাসিন্দাদের ওপর চাপিয়ে সেই প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড