• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

চীনকে ঠাণ্ডা রাখতে এখন যাদের ওপর ভরসা মোদীর

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৬ জুলাই ২০২০, ১২:৫৪
চীনকে ঠাণ্ডা রাখতে এখন যাদের ওপর ভরসা মোদীর
প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (ছবি : এনডিটিভি)

দীর্ঘ ৮ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারত ও চীনের সেনা বাহিনী। সীমান্তে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি বদলাতে দুই দেশের সেনা কর্মকর্তা ও কূটনৈতিক পর্যায়ের আলোচনাতেও ফল মেলেনি।

তাই উত্তেজনা প্রশমনে এবার বিশেষ প্রতিনিধির মাধ্যমে বেইজিংয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে উদ্যোগী ভারতের। এক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালেই আস্থা মোদী সরকারের। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল কথা বলতে পারেন চীনের স্টেট কাউন্সিলর তথা পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে।

জানা গেছে, আলোচনার মূল বিষয়বস্তুই হবে নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে বাড়তি সেনা প্রত্যাহার ও উত্তেজনা প্রশমন। নিয়ন্ত্রণরেখা সংকট নিয়ে গত মঙ্গলবারই (৩০ জুন) ভারত-চীন সেনা কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা হয়েছিল।

আরও জানা গেছে, নিয়ন্ত্রণরেখা রেখা থেকে দুই দেশই সেনা সরাতে সম্মত হয়েছে। নির্মাণও ভেঙে ফেলা হবে। বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেনা বিভিন্ন পয়েন্টে যেতে পারবে। এর পাঁচ দিনের মাথায় বিশেষ প্রতিনিধির মাধ্যমে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে গিয়ে উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিত দিতে চাইছে ভারত।

সেনা বাহিনীর এক কর্মকর্তার কথায়, রিপোর্ট হাতে এলে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানা যাবে। তবে গত তিন ধরে গলওয়ান থেকে কিছু সেনা সরেছে ও নির্মাণ স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে কিছু হলে তা জানি না। তবে, প্রকৃতি বিরূপ, গলওয়ান নদীর পানি বাড়ছে। তাই এই প্রক্রিয়া কিছুটা দেরি হতে পারে।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার কথায়, বাস্তবে কি হচ্ছে তা দেখার জন্য ১০ দিন ধার্য হয়েছে। তবে, গলওয়ানে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গলওয়ানই আমাদের প্রধান বিবেচনার বিষয়।

প্যাংগং টিএসও, ফিঙ্গার-৪ থেকে ফিঙ্গার-৮- চীনা সেনার অস্তিত্ব যেখানে নজরে এসেছে, সেখানে চীনা সেনারা এখনও অবস্থান করছে। দেবসাংয়ের ক্ষেত্রেও উদ্বেগ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে, উচ্চস্তরে সীমান্ত আলোচনা চালাতে আগ্রহী নয়াদিল্লি।

ভারতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদ ক্যাবিনেট মন্ত্রী পদমর্যাদার হলেও চীনে তা নয়। চীনের প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর থেকেও বেশি ক্ষমতাধারী স্টেট কাউন্সিলর। ২০১৮ পর্যন্ত চীনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্টেট কাউন্সিলর পৃথক ব্যক্তি থাকলেও বর্তমানে তা নয়।

ডোকালাম সংকট মেটাতে ২০১৭ সালে চীনা স্টেট ইয়াং জিয়াসির সঙ্গে আলোচনা চলেছিল। জিয়াসি ছিলেন সেদেশের বিশেষ প্রতিনিধি। বর্তমানে চীনা স্টেট কাউন্সিলর তথা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই- একই ব্যক্তি। ফলে আলোচনা কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে কিছুটা চিন্তায় ভারত। তবে দোভালের নেতৃত্বেই বিশেষ প্রতিনিধি পর্যায়ে আলোচনায় জোর দিচ্ছে মোদী সরকার।

আরও পড়ুন : লাদাখে জ্বালানির জন্য বিপাকে ভারত, উইন্টার ডিজেল চায় সেনারা

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শেষবার ভারত-চীন বিশেষ প্রতিনিধি পর্যায়ে আলোচনা হয়েছিল। সেখানে নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য পারস্পরিক আস্থা বর্ধনে সম্মত হয় দুই দেশ।

সূত্র : দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড